রংপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুর আরও একজনের মৃত্যু

ফানাম নিউজ
  ২৫ মার্চ ২০২২, ০৪:০৬

রংপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে একটি কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মারা যায় একমাত্র ছেলে সন্তানটি। বাকি দুই কন্যাশিশুকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তবে শিশুর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় অবহেলা ও ওয়ারমার (মেশিন) নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন নিহত দুই নবজাতকের বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন।

তিনি বলেন, নষ্ট মেশিনে সারাদিন আমার বাচ্চাকে রেখেছে। আমি জানতে চাইলে ওখানকার লোকজন বলে মেশিন ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের না।

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন ডা. মনিকা মজুমদার। তিনি বলেন, বাচ্চাদের ওয়ারমারে রাখা হয়েছে। ওয়ারমারে রাখা কোনো নবজাতকের মৃত্যু হয় না। মূলত বাচ্চাদের ওজন কম। এমন বাচ্চাদের টিকিয়ে রাখা চিকিৎসকদের জন্য কঠিক কাজ। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি নেই।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিয়ের আট বছর পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আদুরী বেগম আশা। জন্মের পর ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

আদুরী বেগম আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের স্ত্রী।

হাসপাতাল ও আদুরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশার। দীর্ঘ সময়েও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। পরে চিকিৎসা গ্রহণের একপর্যায়ে আদুরী বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন। গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায়, তার গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার সন্তানের জন্ম দেন আশা।

সূত্র: জাগো নিউজ