ময়মনসিংহে দাম কমলো খোলা সয়াবিন তেলের

ফানাম নিউজ
  ১৩ মার্চ ২০২২, ১১:২৬

ময়মনসিংহে ১০ টাকা কমেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যসব পণ্যের দাম চড়া। তাই খোলা তেলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অন্যসব পণ্যের দামে অসন্তোষ ক্রেতারা। এছাড়া কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে মাছের দাম।

সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটি জানা যায়।

প্রতি কেজি সজনে ৩২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা, পেঁয়াজপাতা ২০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, কচুর মুখি ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, সিমের বিচি ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লতা ১২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, লেবু হালি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর মেছুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, বাজারে সজনে, পটল, ঢেঁড়স, লাউ, কুমড়ার সরবরাহ ও আমদানি খুব কম। তাই এসব সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার সবজির সরবরাহ ও আমদানি বাড়লে দামও কমে আসবে।

বাজারের মুদি দোকানি কাঞ্চন পাল জানান, গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন ১৮২ টাকা ছিল। এ সপ্তাহে ১৭২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পামঅয়েল ১৫৩ টাকা, কোয়ালিটি ১৬২-১৬৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮-১৭০ টাকা লিটার।

তিনি বলেন, সরকার মাত্র শুল্ক মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে। কাগজে-কলমে এখনো কার্যকর হয়নি। কার্যকর তখনই হবে যখন আগের দামে কেনা তেল বিক্রি শেষ হবে। এরপর থেকেই তেল কম দামে বিক্রি করা সম্ভব।

বাজারে প্রতি কেজি শিং ৪০০টাকা, গুলশা ৬০০ টাকা, মলামাছ ৩৫০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০ টাকা, সিলভার ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, বাউশ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শোল ৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, রাজপুঁটি ১৮০ টাকা, কার্প ২২০ টাকা, কাকিলা ৫৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, চাপিলা ৫০০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা, টেংরা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেছুয়া বাজারের মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, বাজারে মাছ আমদানি কম হয়েছে। তাই সব প্রকার মাছের কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।

বাজারে ডাল জাতীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১১৫ টাকা, ফাডি মসুর ডাল ৯০ টাকা, ক্যাঙ্গারু মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মাসকলাই ৮০ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৭৫ টাকা, অ্যাংকার ৫৫, মুগডাল ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪০ টাকা, খোলা আটা ৩৫ টাকা, চিনি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৪০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের মাংস বিক্রেতা জাফর বলেন, গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ টাকা আর গরুর মাংস ৬৫০ টাকা।

মুরগি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র: জাগো নিউজ