শিরোনাম
ফুটবল নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকেরা অনেক আবেগী। কখনো কখনো সীমা ছাড়িয়ে যায় সেই আবেগ। আবুধাবিতে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসির কাছে ২–১ গোলের হারে এমনিতেই মেজাজ খারাপ ছিল পালমেইরাস সমর্থকদের। এর মধ্যেই ধেয়ে এল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির এক সমর্থকের মৃত্যুর খবর।
আবুধাবিতে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ব্রাজিলে টিভি কিংবা বড় পর্দায় অনেকেই দেখেছেন। সাও পাওলোর আলিয়াঞ্জ পার্ক স্টেডিয়ামের পাশে তেমনই এক আয়োজন করা হয়েছিল। এটা আবার পালমেইরাসের মাঠও। ক্লাবটির ঘরের ম্যাচগুলো এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানেই সমর্থকেরা জড়ো হয়ে ফাইনাল দেখছিলেন। পাশেই পালেস্ত্রা ইতালিয়া সড়কে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে। ম্যাচ শেষে ক্লাবটির সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন পালমেইরাসের এক সমর্থক।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ৪২ বছর বয়সী সেই সমর্থক মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি, তবে গুলি করা দুষ্কৃতকারীকে হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ।
আরও একজন দুষ্কৃতকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি পুলিশের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পা ভেঙে যাওয়া এক সমর্থককে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাও পাওলো পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা সিজার সাদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, গুলি করার সময় সেই দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ১৫ জন পালমেইরাস ভক্ত আহত হন। আবুধাবির মোহাম্মদ বিন আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।
৫৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। ১০ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে রাফায়েল ভেইোরের গোলে সমতায় ফেরে পালমেইরাস। কিন্তু অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে কাই হাভার্টজের গোলে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেয় চেলসি।