শিরোনাম
পাঁচ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সের মাঠের বাইরের ঘটনায়ই বেশি আলোচিত হলো দলটি। যেখানে দলের সদ্য সাবেক অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সৈয়দ ইয়াসির আলমকে ঘিরে তৈরি নানান ধোঁয়াশা।
নাটকীয়তায় ভরপুর রোববারের বিকেল বেলা সংবাদমাধ্যমে মেহেদি হাসান মিরাজ স্পষ্ট বলেন, ইয়াসির আলম দায়িত্বে থাকলে তিনি আর চট্টগ্রামের দলে খেলবেন না। পাশাপাশি মায়ের অসুস্থতার কারণে দল ছেড়ে ঢাকায় ফেরার জন্যও একপ্রকার রওনা হয়ে যান।
শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টিম হোটেল ছেড়ে ঢাকায় ফেরেননি মিরাজ, রয়ে গেছেন দলের সঙ্গে। আর ইয়াসির আলমের সঙ্গে তার মধ্যস্থতা করতে আলোচনায় বসতে হয়েছে দলের মালিক কেএম রিফাতুজ্জামানকে। তিনি জানিয়েছেন, এখন আর দলের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।
দলের মালিকের সঙ্গে আলোচনার পর রোববার রাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ। তার পাশেই বসা ছিলেন রিফাতুজ্জামান। শুরুতেই রিফাতুজ্জামান পুরো বিষয়টি পরিস্কার করে জানান, এখানে মূলত যোগাযোগের অভাব ও ভুল বোঝাবোঝির কারণেই সবকিছু হয়েছে।
পরে একই সুরে মিরাজ জানান, তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর বিষয়টি আগে জানালে আর কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু ম্যাচ শুরুর মাত্র তিন ঘণ্টা আগে এটি জানানোয় সারপ্রাইজড হয়েছেন মিরাজ। পাশাপাশি অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর কারণ জানতে চেয়েও শুরুতে সেটি না জানানোর কারণেই মূলত ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হয়।
মিরাজ বলেছেন, ‘আমাকে আগে জানালে হলে এই সমস্যা হতো না। এটা তাদের দল, তারা যাকে ইচ্ছা তাকে অধিনায়ক করবে। এটা তাদের ব্যাপার। আমি তো শুরুতে তাদের কাছে অধিনায়কত্ব চাইনি। এখন সরিয়ে দিয়েছে এটাও বিষয় না। শুধু আগে না বলাতে আমি কষ্ট পেয়েছি। যে কোনো ক্রিকেটারই এতে কষ্ট পাবে।’
এসময় তাকে সম্পূরক প্রশ্ন করা হয়, আবার দায়িত্ব দিলে কি সেটি গ্রহণ করবেন তিনি? উত্তরে সরাসরি না বলে দেন মিরাজ। তবে দলের একজন ক্রিকেটার হিসেবে পুরো এফোর্ট দিয়ে খেলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মিরাজের ভাষ্য, ‘এখন যদি আমাকে (অধিনায়কত্বের) প্রস্তাব দেওয়া হয়, সত্যি কথা বলতে আমি করবো না। আমি এখন একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলবো দলে। কিন্তু আমাকে যদি পরবর্তীতে ম্যানেজমেন্ট থেকে অধিনায়কত্ব দেওয়াও হয়, আমি করবো না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে ক্রিকেটার হিসেবে চেষ্টা করবো নিজে ভালো পারফর্ম করার জন্য এবং দল যাতে ভালো খেলে। যেহেতু দল আমার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করে। ভালো হচ্ছে ইনশাআল্লাহ, আমি চেষ্টা করবো এভাবেই ভালো করার জন্য।’
এসময় মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে নাইমকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের মালিক রিফাতুজ্জামান জানান, ট্যাকটিক্যাল চিন্তাভাবনায় দ্বিমত থাকার কথা। অধিনায়ক ও ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনায় খানিক ভিন্নতা থাকার কারণেই মূলত সরানো হয়েছে মিরাজকে।
রিফাতুজ্জামান বলেছেন, ‘দুই পক্ষের ট্যাকটিক্যালি কিছুটা মতপার্থক্য ছিল। আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলছিলাম সেটা অনেকটা ঝুঁকির মতো ক্রিকেট। কালকে ২০০ করেছি, আবার ৯০ রানেও আউট হতে পারতাম। মিরাজের ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে কিছুটা মতভেদ ছিল। এ কারণেই মূলত ম্যানেজম্যান্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’