নেইমারের ‘জীবন’ দেখতে দর্শকদের হুমড়ি

ফানাম নিউজ
  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৪৭

আশার কথা আগেই জানিয়েছিলেন নেইমার। তাঁর জীবন নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র ‘নেইমার: দ্য পারফেক্ট ক্যায়োস’ নিন্দুকদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবে। তথ্যচিত্রটি দেখার পর ব্রাজিলিয়ান তারকাকে পছন্দ করতে শুরু করবেন সমালোচনাকারীরা—এমন আত্মবিশ্বাস আগেই প্রকাশ করেছিলেন নেইমার। পিএসজি ফরোয়ার্ডের এই আশার দাম দিয়েছেন দর্শকেরা।

নেটফ্লিক্সের বানানো এই তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো ছিল আজ। তার আগে সোমবার রাতে ব্রাজিলের স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘টুইচ’–এ প্রথম পর্বের সরাসরি ‘প্রিভিউ’ দেখানো হয়। প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার দর্শক স্ট্রিমিং করে এই তথ্যচিত্র দেখেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

নেইমারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বানানো হয়েছে এই তথ্যচিত্র। সাও পাওলোতে তাঁর বেড়ে ওঠা, সান্তোসে তারকাখ্যাতি এবং ইউরোপে গিয়ে তারকাখ্যাতির গগনে ওঠা—এসব কিছু স্থান পেয়েছে। এদিকে মাঠের ভেতরে ও বাইরে মাঝেমধ্যেই বিতর্কে পড়েন নেইমার। মাঠে তাঁর ড্রাইভ দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে সমালোচনা হয় বেশ আগে থেকেই। মাঠের বাইরে ‘নৈশজীবন’ নিয়েও কথা শুনতে হয় তাঁকে। গত মে মাসে নিজেদের এক কর্মীর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নেইমারের সঙ্গে স্পনসর চুক্তি বাতিল করে খ্যাতনামা ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি। নেইমার যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বেশি দিন আগের কথা নয়, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রাজিলে বড় এক পার্টি দিয়েছিলেন নেইমার। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ব্রাজিল যখন ধুঁকছে, তখন স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেইমারের সেই পার্টি সমালোচনা কুড়ায়। তিন পর্বের এই তথ্যচিত্রে নেইমারকে নিয়ে সমালোচকদের কথাবার্তাও ঠাঁই পেয়েছে। তথ্যচিত্রে দেখা যায়, একপর্যায়ে নেইমার বলছেন, ‘যতটুকু নয়, তার চেয়েও বেশি সমালোচনা সহ্য করতে হয় আমাকে। মাঝেমধ্যে এটা খুব কঠিন হয়ে ওঠে। নিজের ওপর আমার আস্থা আছে, এটাই যথেষ্ট।’

নেইমারের সঙ্গে তাঁর ১০ বছর বয়সী ছেলে দাভি লুকার সম্পর্ক নিয়েও দর্শকেরা জানতে পারবেন এই তথ্যচিত্রে। সিরিজের চুম্বকাংশে দর্শকদের প্রতি নেইমারের বাবা বলেছেন, তাঁর ছেলের ক্যারিয়ারে এখনো ‘সাত থেকে আট বছর’ বাকি। এই তথ্যচিত্রে নেইমারের ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পেও আছেন। তাঁর জাতীয় দল সতীর্থ থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেজ এবং ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ডেভিড বেকহামকেও দেখা যাবে সিরিজটিতে। তথ্যচিত্রটির পরিচালক ডেভিড চার্লস রদ্রিগেজ।

তথ্যচিত্রটি নিয়ে ইএসপিএনকে কিছুদিন আগে নেইমার বলেছেন, ‘আমাকে যাঁরা জানেন, আমি কেমন, তাঁরা সেটা ভালো বলতে পারবেন। যাঁরা আমাকে জানেন না, তাঁদের সমালোচনা আমি পাত্তা দিই না। তবে তথ্যচিত্রটি দেখলে তাঁদের ধারণা পাল্টে যাবে বলে মনে করি। আমি আসলে কেমন, তা খুব কম লোকই জানে। কাছের বন্ধুবান্ধব, পরিবার আর কয়েকজন সতীর্থ তা জানে। এখন মনে করি, নিজের জীবনটা সবার সামনে আরেকটু খোলাসা করা উচিত। প্রতিদিন কী করি, বাবার দায়িত্বটা কতটুকু পালন করি, ছেলের দায়িত্ব, ভাইয়ের দায়িত্ব—তথ্যচিত্রটিতে আমার জীবনের এই অংশটা দেখতে পাবেন সবাই।’