শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনও অবসর নেননি পুরোপুরি। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেও আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি। গত ২০১৮ সালে ওয়ানডের নেতৃত্ব ছাড়ার পর যদিও আর জাতীয় দলে ডাক পাননি, খেলে যাচ্ছেন ঘরোয়া লিগে।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলার পর মাঝে ৪০২ দিন ছিলেন খেলার বাইরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (অষ্টম) আসর দিয়ে মাঠে ফেরার কথা থাকলেও মিনিস্টার ঢাকার হয়ে প্রথম ৩টি ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন চোটের কারণে।
চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে অবশেষে ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচটায় হারলেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
মিনিস্টার ঢাকার দেয়া ১০১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সিলেটকে হারাতে হয় ৩টি উইকেট। যেখানে মাশরাফী একাই নেন ২ উইকেট। ৪ ওভার বোলিং করে ৫.২৫ ইকনোমিতে ২১ রান দিলেও ডট বল ছিল ৯টি।
লম্বা সময় পর খেলায় ফিরেও মাশরাফীর এমন প্রত্যাবর্তনকে দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দেখছেন অনুপ্রেরণা হিসেবে। ঢাকার অধিনায়ক বলছেন, এটা সবার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।
‘আমি মনে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণার। মাঠে ফিরতে নিজের ফিটনেস এবং বোলিং স্কিল নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরেছেন, দুটি উইকেটও পেয়েছেন।’
তবে দলের পারফরম্যান্সে হতাশ উল্লেখ করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘ওভারঅল দল হিসেবে আমরা ভালো করিনি। দলগত পারফরম্যান্সে আমি খুবই হতাশ আজ। আমরা এই ম্যাচটা জিতে পয়েন্ট টেবিলে সমতা আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে রি-গ্রুপ হতে হবে। উন্নতির জায়গাগুলো খুঁজতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’