শিরোনাম
প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে প্রথমবার খেলতে আসলেও জাতীয় দলের হয়ে অনেকবারই এসেছেন বাংলাদেশে। সূত্র: আরটিভি
তবে এবারের আসাটা তার কাছে একেবারেই অন্যরকম। জাতীয় দলের পাঠ চুকিয়ে পুরাদস্তুর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম লিখিয়ে ফেলা ডু প্লেসির কাছে এখন ক্রিকেট মানেই যাযাবর জীবন।
বাংলাদেশে এসেছেন, পাচ্ছেন ভিন্নতা। দলের বেশিরভাগ সতীর্থই অচেনা। বাংলাদেশিদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাটাও কম নয়। চেষ্টা করছেন বাংলা ভাষাটাও রপ্ত করার।
শুক্রবার অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এই প্রোটিয়া ক্রিকেটারের কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলা ভাষা কতটা রপ্ত করা গেছে। এমনকি এখানকার কোন খাবারটা তার কাছে ভালো লেগেছে।
ডু প্লেসি বলেন, ‘না এখনও না (বাংলা শব্দ), এখন স্থানীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছি। গত রাতে বিরিয়ানি খেয়েছি, বেশ ভালো ছিল। এছাড়া পেয়ারা, মরিচ ও লেবু দিয়ে একটা খাবার দিয়েছিল একজন; এটা দারুণ লেগেছে আমার।’
ভাষা কিংবা স্থানীয় খাবারে প্লেসি যত মজাই পান না কেন, মূল লক্ষ্য সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চান প্লেস। হতে চান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
‘ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সব সময়ই সাফল্য চায়। আমার মতো বা সব ক্রিকেটাররাও এটাই চায়। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে আমি অবশ্যই তা সবার সঙ্গে শেয়ার করবো। আর ব্যাটার বা নেতৃত্বের জায়গা থেকেও আমার যতটা সম্ভব দলের সঙ্গে শেয়ার করবো। দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া।’
চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই লক্ষ্য প্লেসির।
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টুর্নামেন্টটা হচ্ছে কোভিডের সময়। এটাই সবচেয়ে বড় ও প্রথম চ্যালেঞ্জ। আর এমন টুর্নামেন্টে সব সময় শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। কারণ যারা খেলতে আসে অনেকেই খেলার মধ্যে থাকে আবার অনেকে সে অবস্থায় থাকে না। তো ওই অবস্থা থেকেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।’