শিরোনাম
মেহেদী হাসান মিরাজের এক ওভারে তিন উইকেট, তাতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সৈকত আলী, তৃতীয় বলে ইরফান শুক্কুর আর শেষ বলে সালমান হোসেনকে ফিরিয়ে মিরাজ ম্যাচে ফেরায় চট্টগ্রামকে। সূত্র: আরটিভি
মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ৪ উইকেটে ৯২ রান তুলেও শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জয় পেল ফরচুন বরিশালকে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তর (১) উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর সৈকত আলী ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে আসে ২৮ রান। সাকিব খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি ব্যাট হাতে। মাত্র ১৩ (১৬) রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর তৌহীদ হৃদয়কে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন সৈকত। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় হৃদয়ের ১৬ (১৭) রানে বিদায়ে ভাঙ্গে ৩৩ রানের জুটি। হৃদয়কে ফেরান মুকিদুল ইসলাম।
এরপর ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে ৩০ রানের রানের জুটি বাঁধেন সৈকত। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৯২ রানের মাথায় সৈকতকে ৩৯ (৩৫) রানে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের তৃতীয় বলে ইরফানকে ১৬ রানে বিদায় করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মিরাজ। দুই বল বিরতি দিয়ে ওভারের শেষ বলে সালমান হোসেনের শূন্য রানে রান আউট হয়ে ফেরায় মোমেন্টাম পেয়ে যায় চট্টগ্রাম।
সালমানের ফেরার মধ্য দিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেন মিরাজ। এর আগে ৬ রানে ২ উইকেট নেয়া মিরাজ আজ পেলেন ১৬ রানে ৪ উইকেট।
৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললেও শেষদিকের কাজটা সারান ডোয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। ব্রাভোর ১৬ (১৩) ও জিয়ার ১৯ (১২) রানে ভর করে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় ফরচুন বরিশাল।
চট্টগ্রামের হয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ। ১ উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ৮ উইকেটে ১২৫ রানের মধ্যে বেনি হাওয়েলের ছিল ৪১ রান। শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ২০ বলে ৩টি ছয় ও ৩টি চারে খেলেন ৪১ রানের ইনিংসটি। এছাড়া ১৬ রান আসে উইল জ্যাকসের ব্যাটে। ১৫ রান করেন নাঈম ইসলাম।
বরিশালের পক্ষে ৩ উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। ২ উইকেট নেন নাঈম হাসান, ১টি করে উইকেট নেন সাকিব ও লিন্টট।