শিরোনাম
বিশ্বকাপে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার দেখে টাইগার যুবারা।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। কানাডার বিপক্ষে ৮ উইকেট আর ১১৯ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে টুর্নামেন্টের সুপার লিগে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রাকিবুল হাসানের দল।
মূল দায়িত্বটা অবশ্য সেরে রেখেছিলেন বোলাররাই। রিপন মন্ডন আর এসএম মেহরবের তোপে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় কানাডা। জবাব দিতে নেমে ওপেনার ইফতিখার হোসেনের হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম (১২) ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটিতে ইফতিখার আর প্রান্তিক নওরোজ নাবিল মিলে দলকে সহজ জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন।
নাবিল ৩৩ করে সাজঘরে ফেরার পর বাকি পথটুকু আইচ মোল্লাকে নিয়েই পাড়ি দিয়েছেন ইফতিখার। ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। ২৬ বলে ২০ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন আইচ।
এর আগে সেইন্ট কিটসের বাসেত্তেরে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে'টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন কানাডার দুই ওপেনার জাশ শাহ ও অনুপ চিমা। প্রথম দশ ওভার থেকে আসে ৩৪ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সাজঘরে ফেরেন ২৭ বলে ৮ রান করা জাশ।
সতীর্থ ওপেনারকে হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন অনুপ। কিন্তু অপরপ্রান্তে তাকে কেউই তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। তিনে নামা ইয়াসির মাহমুদ ১, অধিনায়ক মিহির প্যাটেল ১১, মোহিত প্রসার ১২, গুরনেক জোহাল সিং ১, এথান গিবসন করেন ২ রান।
অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই লড়ে যান অনুপ। ইনিংসের ৪১তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে সাত চারের মারে ১১৭ বলে ৬১ রান করেন এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর আর বেশি দূর যেতে পারেনি কানাডা, ইনিংস থেমে যায় ১৩৬ রানেই।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ১০ ওভারে এক মেইডেনসহ ৩৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহরব। ডানহাতি পেসার রিপন মন্ডল ২৪ রানে সমান ৪টি উইকেট। বাকি ২ উইকেট যায় আশিকুর জামানের ঝুলিতে।