শিরোনাম
এক দল দাপট দেখিয়ে সিরিজ জিতেছে, অন্য দল প্রায় প্রতি ম্যাচেই নতজানু হয়ে ছিল। কিন্তু সিরিজ শেষ হওয়ার পর পার্টি করায় দুই দলই এক হয়ে গিয়েছিল গতকাল সোমবার। গত রোববার ১৪৬ রানে হোবার্ট টেস্ট জিতে ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ শেষ হওয়ার পর আনন্দ উৎসব চলেছে সারা রাত। সকাল পর্যন্ত চলা সে উল্লাসে বাধা দিয়েছে তাসমানিয়া পুলিশ। খেলোয়াড়দের ঘুমাতে পাঠিয়েছে তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে গতকাল। সেখানে দেখা গেছে, হোবার্টের একটি রেস্তোরাঁয় বসে পান করছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন, ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স ক্যারি। তাঁদের গায়ে তখনো ম্যাচের পোশাক। তিন অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গী ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট ও পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। অন্তত চার পুলিশ সদস্য এসে বিনয়ের সঙ্গে তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলছেন। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, শোরগোলে বিরক্ত হয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন আশপাশের মানুষ।
এ ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে বলা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাইরে থেকে করা হয়েছে। তাঁরা পার্টি করার সময় উচ্চ শব্দে গান বাজানোতেই অভিযোগ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে টিম হোটেলের কর্তৃপক্ষ কিছু জানার আগেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পুলিশ কর্মকর্তা হোটেলের ছাদে পার্টিরত ক্রিকেটারদের বলছেন, ‘অনেক বেশি শব্দ হচ্ছে। আপনাদের নিশ্চিতভাবেই উঠে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণেই আমাদের এখানে আসতে বলা হয়েছে। ঘুমানোর সময় হয়েছে। ধন্যবাদ।’ এ সময় পেছনের এক ক্লক টাওয়ারে সময় দেখাচ্ছিল সকাল সাড়ে ছয়টা। এর আগে এক খবরে বলা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা রোববার ম্যাচ জেতার পর হোটেলেই ফিরেছেন রাত দেড়টার সময়। তবে লায়নদের যে উৎসব আরও চলেছে, সেটা এ ঘটনাই জানিয়ে দিয়েছে।
পাঁচ ক্রিকেটারই পুলিশের কথামতো রুমে ফিরেছেন। যিনি ভিডিও করছিলেন, তিনি পাঁচ ক্রিকেটারের নাম বলে বলেছেন, ‘এটা আইনজীবীদের জন্য করা হচ্ছে।’ তাসমানিয়া পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘সোমবার সকালে ক্রাউন প্লাজা হোবার্টে গিয়েছিল তাসমানিয়া পুলিশ। কারণ, জমায়েতের একটি স্থান থেকে নেশাগ্রস্ত মানুষের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছিল আমাদের কাছে। সকাল ছয়টার একটু পর অতিথিদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তাঁদের এলাকা ছাড়তে বলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেটা মেনে নিয়েছেন। পুলিশ তাই আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’ ক্রাউন প্লাজার ওয়েবসাইট বলছে, তাদের বার রাত ১১টার পর বন্ধ হয়ে যায়।