শিরোনাম
প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়। মাউন্ট মঙ্গানুইতে পেসার এবাদত হোসেনের দুই ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়, কিউই ব্যাটারদের উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেওয়া। ঐতিহাসিক এই জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া এবাদত হোসেন কৃতিত্বটা দিয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকে। সূত্র: আরটিভি
অথচ নিউজিল্যান্ড সফর শেষ হতে না হতেই যে গিবসন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবাদতদের ছেড়ে যাওয়ার। বুধবার রাতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিসিএল) দল মুলতান সুলতানস বুধবার রাতে টুইটের পর সবার নজর ছিল গিবসনকে ঘিরে। পিসিএলের দলটির বোলিং কোচ ও অ্যাসিট্যান্ট কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় গিবসনকে। তবে কী বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে আর থাকছেন না এই ক্যারবীয় কোচ?
শেষ পর্যন্ত সেটিই হলো। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করেন গিবসন। দুই বছর মেয়াদী চুক্তির শেষ হবে আগামী ২০ জানুয়ারি। তবে গিবসন পুনরায় চুক্তি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এমনটা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস জালাল ইউনুস।
তবে টাইগার পেসারদের উন্নতি দেখে বিসিবি চেয়েছিল গিবসনের সঙ্গে পুনরায় চুক্তির। তবে এই ক্যারিবীয় কোচ কেন চুক্তি নবায়ন করছেন না এ নিয়ে নাকি কিছুই বলেনি বিসিবিকে।
‘৪-৫ দিন আগে ওটিস (গিবসন) আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, সে চুক্তি নবায়ন করছে না। আমাদের ভাবনা ছিল, সে থাকতে চাইলে তাকে রেখে দেব। তবে তার পরিকল্পনা ভিন্ন। সেরকম কোনো কারণ সে দেখায়নি। বলেছে যে, সে এখানে কাজ করে খুব খুশি ছিল, এখন নতুন পথ দেখতে চায়। আনুষ্ঠানিক চিঠিতে যা বলে আরকি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২ টেস্ট ও ১৫ টি ওয়ানডে খেলা গিবসন ২০০৭ সাল থেকে তিন দফায় ছিলেন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন নিজ দেশের কোচ। এই সময়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১২) জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন।
এরপর বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ হয়ে আসেন বাংলাদেশে। সেখান থেকেই বিসিবি তাকে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যান গিবসন।