শিরোনাম
চণ্ডিকা হাথুরু সিংহের কথা নিশ্চয় মনে আছে। বাংলাদেশ দলের এই হেড কোচের অধীনে দ্রুত বড় বড় সাফল্য আসতে থাকে টাইগার ক্রিকেটে। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমি-ফাইনালে (২০১৭) খেলা, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে (২০১৯) খেলার মতো সাফল্য আসে হাথুরুর অধীনেই। সূত্র: আরটিভি
হাথুরুর অধীনেই ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল। এই লঙ্কান কোচের হাত ধরে যত সাফল্যই আসুক না কেন, যাবার বেলায় অনেকটা আড়ালেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেয়া চণ্ডিকা হাথুরু দায়িত্ব ছাড়েন ২০১৭ সালে। এর ভেতর ২১টি টেস্টে ৬টি জয়, ১১টি পরাজয় ও ৪টি ড্র। ৫১টি ওয়ানডেতে ২৫ জয়, ২৩ পরাজয় ও ফলাফল হয়নি ৪টি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২টি ম্যাচে ৪ জয় ও ৮টি ম্যাচে হারে বাংলাদেশ।
হাথুরুর বিদায়ের পর স্টিভ রোডস এবং সবশেষ রাসেল ডমিঙ্গো আসেন বাংলাদেশ দলের হেডকোচ হয়ে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বিদায় করা হয় স্টিভ রোডসকে।
রাসেল ডোমিঙ্গোর অধিনে ‘এই ভালো এই খারাপ’ চললেও তাকে বিদায় দেয়ার গুঞ্জনটা শোনা যাচ্ছে বেশ লম্বা সময় ধরেই। সেটা অনেকটা পোক্ত হয় ২০২১ সালে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে।
এরপরই ভেতরে ভেতরে নতুন কোচ খুঁজতে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনটাই জানিয়েছে বোর্ডের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র।
সূত্রটি জানিয়েছে, “চুক্তি অনেকটা পাকাপাকি হয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী আগস্টেই চণ্ডিকা হাথুরু সিংহে হেড কোচ হিসেবে যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।”
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের হেড কোচেরও দায়িত্ব পান চণ্ডিকা। তবে দেশের ক্রিকেটেও তার চাকরিটা লম্বা হয়নি। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার আগেই ২০১৮ সালে বিদায় করে দেয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।