শিরোনাম
এবারের সফরের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুমিনুলদের আট উইকেটের ঐতিহাসিক জয়ে ছবিটা বদলে গেলে।
দুর্দান্ত এই জয় বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আরেকটি ইতিহাসের সামনে।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আজ ভোরে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ নেমেছে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আজ প্রথমদিনে সেই সুবাস পেল না টাইগাররা। কিউইদের কাছে পাত্তাই পেলেন না ইবাদতরা। প্রথম টেস্টের দুর্দান্ত পেসার ইবাদতসহ তাসকিন, মিরাজদের তুলোধোনা করে রানের পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড।
দিনের খেলা শেষে ১ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে কিউইরা।
ডাবল সেঞ্চুরির পথে অধিনায়ক টম ল্যাথাম। অন্যদিকে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান দূরে রয়েছেন ডেভন কনওয়েও। এক ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারিতে ১৪৮ বল মোকাবিলা করে ৯৯ রান করেছেন।
মাউন্ট মঙ্গানুয়ে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এ কিউই ব্যাটার। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে নেমেই তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যেতে পারেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত এই ব্যাটার মাত্র ৪ টেস্টেই দুটি শতক হাঁকিয়েছেন ইতোমধ্যে।
আজ বাংলাদেশ দলের একমাত্র সফল বোলার পেসার শরিফুল ইসলাম। ৫৪ রানে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার উইল ইয়ংকে ফিরিয়েছেন তিনি। মেডেন পেয়েছেন ৬টি।
গত টেস্টে ইতিহাস গড়া বোলার ইবাদত আজ তেমন সুবিধাই করতে পারেননি।
২১ ওভার করে ১১৪ রান দিয়েছেন। তাকে ওয়ানডে মেজাজে খেলেছেন কিউই ব্যাটাররা। সেই তুলনায় তাসকিন ভালো বল করেছেন। ২২ ওভারে দিয়েছেন ৬৮ রান। ৫টি মেডেনও পেয়েছেন।
কিউই ইনিংসের বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাওয়ার রূপকার অধিনায়ক ল্যাথাম। ব্যাট হাতে নেমেই বাংলাদেশি পেসারদের ওপর চড়াো হন তিনি। ২৭৮ বল খেলে ১৮৬ রানে অপরাজিত তিনি। ২৮টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ইতোমধ্যে।
এর জন্য তিন পেসারই দায়ী। খাটো লেংথে ও স্টাম্পের বাইরে বল করেছেন অনেক তারা। ফুল লেংথগুলো বেশ কবারই হয়ে গেছে হাফভলি। খুব বেশি মুভমেন্টও আদায় করতে পারেননি কেউ।
আলগা বল পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছেন ল্যাথাম। চার আদায় করেছেন কিছু ভালো বলেও।
প্রথম ঘণ্টায় ১২ ওভারে স্বাগতিকদের রান ছিল ৩৪, পরের ঘণ্টায় ১৩ ওভারে আসে ৫৮ রান।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর প্রথম ওভারেই সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইবাদতের বলে ইয়াংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় উইেটর পেছনে। প্রথম স্লিপে যা সহজ ক্যাচ হতে পারত নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপ থেকে ডাইভ দিয়ে ধরতে গিয়ে তা ফেলে দেন লিটন দাস।
পরে ওভারথ্রো থেকে ওই বলে আসে ৭ রান! ইবাদতের পরের ওভারে আরেকটি ওভারথ্রো থেকে আসে ৫ রান।
পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে বাউন্ডারি মেরে ইয়াং ফিফটি করে ৯৮ বলে। তাকে ৫৪ রানে থামি জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন ইয়াং।