শিরোনাম
দুজনেই সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ দলের। নিজেদের সময়ে দেশের ক্রিকেটকে সর্বোচ্চটা দিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ক্লাব ক্রিকেটে এক দলের হয়েও খেলেছেন দুজনে, তবে সময়ের বিবর্তনে একজন এখন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায়, আরেকজন কুল হারিয়ে ছুটছেন দিক-বেদিক। সূত্র: আরটিভি
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আশরাফুল বলেছিলেন, ‘নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর হলে ভালো হয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচক প্যানেল দিয়ে ক্রিকেটে সুফল ফেরানো সম্ভব নয়।’
আশরাফুলের এমন মন্তব্য বেশ লেগেছে মিনহাজুল আবেদীনের। জবাবে নান্নু আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী ও ফিক্সার’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আশরাফুলের এই কথার সঙ্গে আমি একটা জিনিস যুক্ত করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রধান নির্বাচক কত বছর কাজ করেছে ওর বোধহয় ধারণা নেই। প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একটানা কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়া কি ক্রিকেট থেকে পিছিয়ে গিয়েছে? ওর তো বোঝার কথা না। যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।’
নান্নুর এমন বক্তব্যের পর ফেসবুক লাইভে এসে আশরাফুল ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করতাম তাহলে হয়ত ভিন্ন চিত্র হতো। তাহলে এক বছরের শাস্তি হতো, তাহলে এখনও জাতীয় দলে খেলতাম। আপনাদের কাছে এখনও ক্ষমা পাইনি, আপনার কথায় এটা বোঝা যাচ্ছে। আমার প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে।’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটা তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। আমি তো উল্টাপাল্টা কিছু বলিনি। আর আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি, আমি ওই দায়িত্বের কথা বলেছি। নান্নু ভাই লাইভে ঢুকে সরাসরি আক্রমণ করলেন আমার নাম ধরে। এটা আসলে খুব দুঃখজনক।’
উল্লেখ্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে।