শিরোনাম
অন্তত ৯ জন করোনা আক্রান্ত। করোনার থাবায় জর্জরিত পুরো বার্সেলোনা দল। কিন্তু লা লিগার নতুন নিয়ম, অন্তত ১৪জন ফিট থাকলে ম্যাচ খেলতে হবে। সে হিসেবে বার্সেলোনা শনিবার রাতে খেলতে গিয়েছিল মায়োরকার বিপক্ষে। যদিও বার্সা ‘বি’ দল থেকে ৯জন খেলোয়াড়কে সিনিয়র দলে অন্তর্ভূক্ত করে নিয়েছিলেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
তবে, করোনা জর্জরিত হলেও এবার যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কম, সেহেতু বার্সা কোচ জাভির লক্ষ্য যেভাবেই হোক মৌসুম শেষে সেরা চারটি দলের একটি হওয়া।
শনিবার রাতে সে লক্ষ্যে একধাপ এগিয়ে গেছে বার্সা। মায়োরকার মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে এলো বার্সা।
১৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৩১। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান মাত্র ১ পয়েন্টের। সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩২। অ্যাটলেটিকো শনিবার রাতে ২-০ গোলে হারিয়েছে রায়ো ভায়োকানোকে।
ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে একমাত্র গোল করে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন লুক ডি জং। অস্কার মিঙ্গুয়েজার ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে দুর্দান্ত একটি হেড করেন ডি জং। এই এক গোলেই রায়ো ভায়োকানো এবং রিয়াল সোসিয়েদাদকে পেছনে ফেলে দেয় বার্সেলোনা।
বার্সার বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে নিজেদের মাঠ সান মোইক্সে মায়োরকা সর্বশেষ ৯ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে। এই ম্যাচেও প্রায় সমতায় চলে এসেছিল মায়োরকা। হাওমি কস্তা অসাধারণ একটি শট নেন বার্সা গোলপোস্ট লক্ষ্যে। কিন্তু তার চেয়েও দুর্দান্তভাবে সেই শটটি ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান।
৯ জনের মত কোভিড-১৯ পজিটিভ। রয়েছে প্রচুর ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়। শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণেও খেলতে পারেননি কেউ কেউ। সব মিলিয়ে বার্সা স্কোয়াডের মাত্র ১১ জন ছিল যাদেরকে নিয়ে মায়োরকার বিপক্ষে খেলতে যেতে হয়েছে জাভি হার্নান্দেজকে। এর মধ্যে আবার ছিলেন ২ জন গোলরক্ষক। যে কারণে তিনি বার্সা ‘বি’ দল থেকে খেলোয়াড় নিয়ে যান সান মোইক্সে।
আনসু ফাতি, মেমপিস ডিপে, মার্টিন ব্র্যাথওয়েটরা খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। এছাড়া ওসমান ডেম্বেলে, আবদে এজালজৌলি, ফিলিপ কৌতিনহোসহ ৮ থেকে ৯জন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত। দলে নতুন আসা ফেরান তোরেসও কোভিড-১৯ পজিটিভ।
ম্যাচের পর গোলদাতা লুক ডি জং বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত। খুবই খুশি যে আমরা আজ জিততে পেরেছি। বিশেষ করে আমার গোলেই। এই জয়টা দলের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। প্রথমার্ধটা ছিল খুবই কঠিন। তবে, সবচেয়ে বড় কথা আমরা শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছি, এটাই অনেক বড়।’