শিরোনাম
ভারত দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। এ নিয়ে ঝামেলা চলছেই। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলিকে। সূত্র: যুগান্তর
যা নিয়ে কোহলির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য।
সেই বিতর্ক নিয়ে এতোদিন চুপ ছিলেন ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। এবার মুখ খুললেন তিনি। সৌরভ-কোহলি বিতর্কে বিসিসিআই সভাপতির পক্ষ নিলেন চেতন।
বললেন, ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে কোহলির সঙ্গে আলাপ করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলিসহ নির্বাচকরা। এক বৈঠকে কোহলি এই সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বললেও তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে নড়েননি কোহলি।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে চেতন শর্মাকে পেয়ে সংবাদকর্মীরা কোহলির প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকধারী সাবেক এই পেসার বলেন, ‘বৈঠক শুরু হওয়ার পর কোহলির এই সিদ্ধান্ত শুনে সবাই অবাক হন। কারণ, বিশ্বকাপ তখন দরজায় কড়া নাড়ছে। ওই সময় কোহলির এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনলে যে কেউ চমকে যাবে। সভায় উপস্থিত সবাই তাকে পুনর্বিবেচনা করার, আবার ভাবার অনুরোধ করেন। তারা বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর এসব নিয়ে আলাপ করা যাবে।’ আমাদের সবার মনে হয়েছিল, এসব আলোচনা বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থেই কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। ওই সভায় সব নির্বাচক, সকল আহ্বায়ক উপস্থিত ছিলেন। সবাই একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোহলি সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। অবশ্য তার পরিকল্পনা তো তারই। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে আমাদের। ’
ভারতীয় বোর্ডের ঘোষণা মতে, বর্তমানে সাদা বলের দুই সংস্করণেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারছেন না রোহিত। তার বদলে দলের নেতৃত্ব দেবেন লোকেশ রাহুল।
এর আগে গত বিশ্বকাপে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বকে বিদায় জানান কোহলি। বিশ্বকাপের পরে তাকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
কোহলি কি নিজ থেকে ভারতের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন? না কি তাকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে? এ প্রশ্ন এখনও চলছে।
কারণ কোহলির দাবি, তাকে কিছু না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বিসিসিআই সভাপতির দাবি, কোহলির সঙ্গে তিনি নিজে আলাপ-আলোচনা করেছেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত আসে।