শিরোনাম
সেঞ্চুরিয়নে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বছরটা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। তবে বছর শেষ হওয়ার আগে এর চেয়ে বড় দুঃসংবাদ পেলো তারা। আচমকাই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক।
পিতৃত্বকালীন ছুটির কারণে ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ও টেস্ট এমনিই খেলা হতো না ডি ককের। আর তিনি এখন জানালেন, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে পুরোপুরিই বিদায় নিতে চান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলবেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
২০২১ সালের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক হয়েছিলেন ডি কক। আর তিনি বছরটি শেষ করলেন সেই টেস্ট ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়ে। ডি ককের অধীনে চারটি টেস্ট খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে জয়-পরাজয়ের সংখ্যা সমান দুইটি করে।
অবসরের ঘোষণা দেওয়া বিবৃতিতে ডি কক বলেছেন, 'এটি খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করেছি আমার জীবনে এখন কিসের প্রাধান্য কেমন হওয়া উচিত। আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছি। আমার পরিচারই আমার কাছে সবকিছু। তাদের সঙ্গে থাকার যথেষ্ট সময় হাতে রাখতে চাই।'
'আমি টেস্ট ক্রিকেটকে ভালোবাসি এবং যেকোনো উপায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গর্ববোধ করি। আমি উত্থান-পতন উপভোগ করেছি। সাফল্য উদযাপন করেছি, হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছি। তবে আমি এখন আমার জীবনের সবচেয়ে ভালোবাসার জিনিস খুঁজে পেয়েছি।'
'আপনার জীবনে আপনি প্রায় সবকিছুই কিনতে পারবেন, শুধু সময় ছাড়া। আর এখন আমার সেই সময়টা সেসব মানুষকেই দেওয়া উচিত, যারা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে শুরু থেকে সমর্থন দেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
'প্রোটিয়া ক্রিকেটার হিসেবে এখানেই আমার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি নয়। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলবো এবং ভবিষ্যতেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবো। ভারতের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচে দলের জন্য শুভকামনা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দেখা হবে।'
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ডি ককের। এরপর থেকে ৫৪ ম্যাচে ছয় সেঞ্চুরির সাহায্যে ৩৮.৮২ গড়ে ৩৩০০ রান করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি (১২৯*) হাঁকিয়েছিলেন তিনি। আর এ মাঠেই খেললেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।