শিরোনাম
হয়তো ফাইনাল অবধি পৌঁছালে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা হাতে উঠত পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের।
কিন্তু তাকে টেক্কা দিয়ে পুরস্কারটি জেতেন চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
যদিও অনেকের মতে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় বাবর আজমই। অনেকের মতে, দুজনই সেরা।
আর বিশ্বকাপের এই দুই সেরার কেউ-ই এবার বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের লড়াইয়ে মনোনয়নই পেলেন না!
২০২১ সালের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কারের জন্য বুধবার চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
সেখানে যাদের নাম উঠল - পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার জস বাটলার, শ্রীলংকার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ।
টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরার তালিকায় রিজওয়ানের নাম কাম্যই ছিল।গোটা বছরজুড়ে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন, উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। এ বছর ২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রিজওয়ান। ৭৩.৬৬ গড়ে ১৩২৬ রান করেছেন, একটি শতকও জ্বলজ্বল করছে তাতে। আর গ্লাভস হাতে ২৪টি ডিসমিসাল তার।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার বাটলারের ডিসমিসাল ১৩টি। এ বছর ১৪ ম্যাচে ৬৫.৪৪ গড়ে ৫৮৯ রান করেছেন।
এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম শতকটি বাটলারের।শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন ৬৭ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস।
বছরটাও দুর্দান্তভাবে শুরু করেন বাটলার।ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৫২ বলে অপরাজিত ৮২ এবং পঞ্চম ম্যাচে ৩৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন।
এদিকে বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে গেছেন শ্রীলংকার অন্যতম সেরা স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন না। কিন্তু বল হাতে তার পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। টানা তিন বলে এইডেন মার্করাম, টেম্বা বাভুমা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন।
টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরার তালিকায় মিচেল মার্শের থাকাটাও স্বাভাবিক।
২৭ ম্যাচে ৩৬.৮৮ গড়ে ৬২৭ রান এবং ১৮.৩৭ গড়ে ৮ উইকেট। অনেকেই মনে করেন, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শিরোপা জয়ের রহস্য লুকিয়ে আছে ব্যাটিং অর্ডারে মার্শকে ওপরে উঠিয়ে আনার মধ্যে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য নায়কচিত ইনিংসটি খেলেন মার্শ।
৫০ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৬১.৬৬ গড়ে ১৮৫ রান করেছেন মার্শ। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৮২।