শিরোনাম
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন রমিজ রাজা।
ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের বিভিন্ন পর্যায়ের পারিশ্রমিকসহ নানান সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছেন তিনি।
যার কারণে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশটির বর্তমান ও সাবেক তারকারা। কিন্তু উল্টোপথে গেলেন দেশটির জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার সালমান বাট।
ক্রিকেটারদের বার্ষিক আয় নিয়ে রমিজ রাজা ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে রমিজ বলেন, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটাররা বর্তমানে বছরে ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি উপার্জন করে, যা আগে কখনও ঘটেনি, ভাবাও যায়নি।
পিসিবি চেয়ারম্যানের সেই বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে সালমান বাট জানান, পাকিস্তানের একজন ক্রিকেটারের কোনো বছরই ৬০ লাখ রুপি আয় সম্ভব নয়।
তিনি যুক্তি দেখান, ‘কোনো খেলোয়াড় যদি তিন ফরম্যাটের সব ম্যাচ খেলে, তা হলে বছরে ১০টি প্রথম শ্রেণি, ১০টি ওয়ানডে ও ১০টি টেস্ট ম্যাচ। এর বাইরে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনাল যোগ করে বছরে ৩৩-৩৪টি ম্যাচ হয়। আর তা হলে এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটে ৬০ লাখ আয় করতে পারবে না। কিন্তু এ+ ক্যাটাগরির সব খেলোয়াড় কি তিন ফরম্যাট খেলতে পারে? না। আর তাদের দল সবসময় ফাইনালে ওঠে না। এক-দুজন হয়তো ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারে। সেটি ধর্তব্য নয়। তাই (পিসিবি চেয়ারম্যানের) এমন মন্তব্য করা আসলে ব্যবসায়ীদের প্রতারণাপূর্ণ কৌশল অবলম্বনের মতো।’
সালমান বাট আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের এ+ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের এক বছরের চুক্তিতে মাসিক পারিশ্রমিক আড়াই লাখ রুপি, যা বছরে দাঁড়ায় ৩০ লাখ রুপি। এমন কোনো ম্যাচ নেই যেখানে এক লাখ রুপি ম্যাচ ফি দেওয়া হয়। কখনও ৬০ হাজার, কখনও ৭০ হাজার দেয়।’
প্রসঙ্গত ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংকাণ্ডে ক্রিকেট দেখে নির্বাসিত হন পাকিস্তান দলের সেই সময়কার অধিনায়ক সালমান বাট। পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরও ছিলেন অভিযুক্তের দলে। এই তিন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেন।
তথ্যসূত্র: পাকিস্তান ক্রিকেট