শিরোনাম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কর্তা হিসেবে আর থাকতে চাইছেন না আকরাম খান। সূত্র: যুগান্তর
মঙ্গলবারও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর চালাচালি হয়। বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী অধিনায়ক জানান, পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন তিনি।
এর পর অস্থিরতা না কেটে বরং আরও বেড়ে যায়। গুঞ্জন ওঠে— ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে আরেক বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের নিয়োগের কারণেই নিজের ওই পদ ছেড়ে দিচ্ছেন আকরাম।
সংশয় জাগে, টিম ডিরেক্টর নাকি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান, তা হলে মূল দায়িত্ব এখন কার কাঁধে?
আকরামের পদত্যাগ ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সেই সংশয় মিটিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাফ জানিয়েছে দেন, আকরাম ও সুজন— দুজনের কাজ আলাদা। এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নেই। একটির জন্য অন্যটিকে খাটো করা যাবে না।
এ ছাড়া ‘টিম ডিরেক্টর’ পদ কেন সৃষ্টি করা হলো তার ব্যাখ্যাও দেন বিসিবি বস।
পাপন জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর এই পদটি সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সবসময়ই নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চান তিনি, কিন্তু করোনার বিধিনিষেধের কারণে তা হয়ে না ওঠায় তার প্রতিনিধি হিসেবে হয়ে দলের সঙ্গে থাকবেন টিম ডিরেক্টর।
বুধবার সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘আকরাম ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। কিন্তু সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন। এটি অনেকেই হয়তো জানেন না। সাধারণত দলের সঙ্গে আমি থাকতাম, না হয় সুজন থাকত। আমি না থাকলে সুজন থাকতই। কিন্তু সুজন যখন বয়সভিত্তিক দল নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ল, ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগে ওকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হলো, তখন সেও যেতে পারছিল না। যখন আমি যেতে পারছিলাম না তখন আমরা আরেকজন পরিচালককে পাঠাতাম।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘আকরাম ও সুজনের পদ কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক না। এটা বলতে পারেন, আমি যে যাচ্ছি না, আমার জায়গায় একজন যাচ্ছে। মানে একজন থাকা। আমি যখন থাকি, তখন সবাই ওখানে থাকে; কিন্তু তখন কারও না থাকলেও চলে। কারণ আমি নিজে খোঁজ নিয়ে জানি কি হচ্ছে, না হচ্ছে। এখন আমি জানতে পারি না, কারণ ওখানে কেউ নেই। সেই জন্য যেটি করেছি— আমরা টিম ডিরেক্টর হিসেবে একজনকে ওখানে দিচ্ছি। তার ভূমিকা কি হবে? ম্যানেজার তো ওখানে আরেকজন। একজনকে যদি দিতে হয়, কি বলে তাকে দেব? এই জন্য বলা হচ্ছে টিম ডিরেক্টর। তার অথরিটি অনেক বেশি।’