শিরোনাম
‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’- এই মুহূর্তে এর মর্মার্থ পাকিস্তানি লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর চেয়ে আর কেই-বা ভালো করে বুঝবেন। বন্ধু ফারহানের করা ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণে সঙ্গ দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছেন ইয়াসির।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ইয়াসির ও তার বন্ধু ফারহানকে অভিযুক্ত করে ইসলামাবাদের শালিমার পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেছেন ১৪ বছরের কিশোরী। পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ২৯২-বি ও ২৯২-সি (শিশু পর্নগ্রাফি) ও ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
এফআইআরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিশোরীর বক্তব্য, ‘তার (ইয়াসির) বন্ধু ফারহান বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর সেই ধর্ষণের ভিডিও করে এবং শ্লীলতাহানিও করে।’
এ ঘটনায় ইয়াসিরের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানিয়ে সেই কিশোরী আরও বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে যখন তাকে (ইয়াসির) ঘটনার ব্যাপারে বলি, তখন তিনি ব্যাপারটি হেসে উড়িয়ে দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের নিয়ে মজা করা তার কাছে নাকি খুব উপভোগ্য বিষয়!’
এমনকি থানায় মামলা না করতে ইয়াসির হুমকিও দিয়েছিলেন বলে জানায় কিশোরী। শুধু তাই নয়, ফারহানের মতো ইয়াসিরেরও ধর্ষণ ও সেগুলোর ভিডিওধারণ করার প্রতি অনেক আগ্রহ বলে অভিযোগ তার।
বর্তমান পাকিস্তানের টেস্ট দলের অন্যতম নিয়মিত মুখ ইয়াসিরের বিরুদ্ধে সেই কিশোরী বলেছেন, ‘তিনি (ইয়াসির) নিজেকে খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে দাবি করেন। অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে বলেও সে জানায়। ইয়াসির ও ফারহান অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ধর্ষণ করে সেগুলোর ভিডিওধারণ করে রাখে।’
এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য থানায় না যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইয়াসির। মেয়েটির ভাষ্য, ‘তিনি (ইয়াসির) আমাকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার প্রস্তাব তো দিয়েছিলেন। এমনকি পরবর্তী ১৮ বছরের আমার যাবতীয় খরচও তিনি বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
ইয়াসিরের এমন ঘটনায় এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ একজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। সমস্ত তথ্য উপাত্ত জোগাড় করেই আমরা মন্তব্য করবো।’
সূত্রঃ জিও টিভি পাকিস্তান