শিরোনাম
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিবর্ণ চিত্রটা বদলাচ্ছে না একটুও। পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজেও হতে হয়েছে ধবল ধোলাই।
পঞ্চমদিনের শুরুতেই প্রথম ইনিংসের শেষ তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ মাত্র ছয় ওভারে। পরে সারা দিন দ্বিতীয় ইনিংসেও টিকে থাকতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুদিনের একটু বেশি সময় খেলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট হারলেন মুমিনুলরা।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৫ রানে অলআউট করে ঢাকা টেস্টে ইনিংস ও ৮ রানের জয় তুলে নিল পাকিস্তান।
এতে টাইগার ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও অধিনায়ক মুমিনুল সেটা মনে করছেন না।
২৪ বছর পার হলেও আড়াইদিনে টেস্ট হারার নজির গড়া থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ।
যে কারণে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, আসলেই কি বাংলাদেশের এই দল টেস্ট খেলার সামর্থ্য রাখে?
জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, টেস্ট খেলার যোগ্যতা আছে বলেই খেলেন তারা।
টেস্ট খেলার যোগ্যতা নিয়ে সাংবাদিকের করা প্রশ্নে মুমিনুলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনার কাছে কি মনে হয়? (হাসি) আমারতো মনে হয় জানে (টেস্ট খেলতে)। না জানলে… (তো খেলি না)। দেখেন ওপেনার বা ১ নম্বর থেকে যারা ব্যাটিং করেছে এবং বোলিং করেছে…সাদমান দেখেন এ সিরিজের আগের সিরিজে সেঞ্চুরি মেরেছে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে রান করা এতো সহজ না। তার আগে শ্রীলংকাতে শান্ত সেঞ্চুরি করল। মুশফিক ভাইতো সবসময় (ভালো)…উনি সিনিয়র খেলোয়াড়। সাকিব ভাইয়ের কথা তো বলা লাগেনা।’
সতীর্থদের সমর্থন জানালেও নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুমিনুল। বললেন, ‘হ্যাঁ, আমারটা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমি চার ইনিংসে রান করিনি। লিটনকে নিয়ে বলতে পারেন। বোলিংয়ে যদি বলি তাইজুল, এবাদত ভালো করেছে।এবাদত কিন্তু খুবই ভালো বল করেছে। খালেদ অনেক দিন পরে খেলল, তাও আপনার প্রথমদিন হয়তো প্রথম স্পেলে ভালো করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে খুবই ভালো বল করেছে। তারপর মিরাজ আছে। আপনি যদি দেখেন সবাই ক্যাপাবল। আমি আপনার সাথে একমত না যে টেস্ট খেলার যোগ্য না। অবশ্যই তাদের টেস্ট খেলার যোগ্যতা আছে দেখেই টেস্ট খেলে।’
তবে এমন পরাজয়ের কারণ কী? জবাবে মুমিনুল জানান, মুশফিক রানআউট না হলে গল্পটা ভিন্ন হতেও পারত।
বলেন, ‘রক্ষণাত্মক ক্রিকেটের সঙ্গে রানটাও গুরুত্বপূর্ণ। এতে মাঝে মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। মুশফিক ভাইয়ের রানআউট হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। সাকিব-মিরাজ চাপটা কাটিয়ে উঠেছিল। এখানে হয়তো শট নির্বাচনে সমস্যা ছিল। একটু ইতিবাচক হয়ে খেলতে হতো।’