শিরোনাম
প্রযুক্তিও সব সময় কাজে লাগে না, আবারও প্রমাণিত হলো ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর পর বোলিংয়ে আসেন বেন স্টোকস। তার ওভারের প্রথম তিনটি বলই ছিল ওভার স্টেপিং। কিন্তু তিনবারই এড়িয়ে যায় আম্পায়ারের চোখ।
যেই না চতুর্থ বলে আউট হলেন ডেভিড ওয়ার্নার, তখনই আম্পায়ারের চোখ পড়ে, আরে এটা তো লাইন অতিক্রম করে গেছে। সুতরাং, নো বল। এবং ফল হলো, আউট হননি ওয়ার্নার। পরে রিপ্লেতে দেখা গেলো, এর আগের তিনটি বলও একইভাবে ‘নো’ করে গেছেন আম্পায়ার। কিন্তু তখন তিনি ‘নো’ ডাকেননি। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক, সমালোচনা।
ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বেন স্টোকসের প্রথম ওভারেই ঘটে এ ঘটনা। প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫০ ওভার খেলেই ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। জস হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক দুটি করে এবং ক্যামেরন গ্রিন শিকার করেন একটি উইকেট। এরপর অবশ্য অস্ট্রেলিয়া আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি। কারণ, বৃষ্টিতে ভেসে যায় দিনের বাকি অংশ।
আজ দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ১৭ বলে ৩ রান করা ওপেনার মার্কাস হ্যারিসের উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার ওলি রবিনসন। ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। যখন ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়, তখনই জুটি গড়ে দাঁড়িয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্নাস লাবুশানে। কিন্তু ‘নো’ বিতর্কে আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার।
ঘটনার সময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান। ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার। বোলার স্টোকস। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ওভারের প্রথম চারটি বলই করেছেন ওভার স্টেপিং। বল করার সময় তার পা লাইন অতিক্রম করে ফেলে। কিন্তু প্রথম তিনটি বলে সেটা মোটেও বুঝতে পারেননি আম্পায়ার। চতুর্থ বলে যখন ওয়ার্নার আউট হন, তখন নজরে আসে যে বলটি নো-বল ছিল এবং পরবর্তীতে দেখা যায়, ওভারের প্রথম চারটি বলই নো-বল ছিল।
এ নিয়ে এখন চলছে তুমুল সমালোচনা। এ জন্য আম্পায়ারকেই দোষ দিয়েছেন সাবেক অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এগুলো পর্যবেক্ষণ করার পরও নো-বল না দেয় তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়, এগুলো নো-বলই ছিল। ওভারের প্রথম বলটিই যদি আম্পায়ার ধরিয়ে দিতেন, তাহলে হয়ত স্টোকস নিজেকে শুধরে নিতো।’
অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সাইমন টাফেলও ফিল্ড আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন তো প্রযুক্তির সাহায্যে সব বল পর্যবেক্ষণ করার কথা। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এই বলগুলো পর্যবেক্ষণ করা হলো না। মাঠের আম্পায়ারদের সাহায্য করার জন্য তো আইসিসির প্রযুক্তিবিদরা মাঠেই আছেন।’