শিরোনাম
পাকিস্তানের কাছে শেষ মুহূর্তে এসে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর যে একটি দিন বিশ্রাম নেবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা, সে উপায় ছিল না। কারণ, সন্ধ্যায় টেস্ট শেষ করার পরই তল্পি-তল্পা গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটারদের। কারণ, মধ্যরাতেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হবে।
সুতরাং, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের কথা ভুলে নতুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বুধবার মধ্যরাতের পরই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠে বসে মুমিনুল হক অ্যান্ড কোং।
১ জানুয়ারি তাউরাঙ্গার বে ওভালে প্রথম টেস্ট ম্যাচে কিউইদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ থেকে ১৪ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
১ জানুয়ারি টেস্ট শুরু। কিন্তু তার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কেন? বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তর। ‘সফরের সূচি যখন করা হয়েছে, তখন নিউজিল্যান্ডে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ছিল। যে কারণে প্রায় তিন সপ্তাহ পর টেস্ট শুরুর তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।’
‘এখন নিউজিল্যান্ড গিয়ে অবশ্য আর দুই সপ্তাহ নয়, এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপর দুইটি অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ২০২২ সালের প্রথম দিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে টিম বাংলাদেশ।’
আগেই জানা আঙুলে ব্যথা পাওয়া তামিম ইকবাল যাবেন না নিউজিল্যান্ড। পারিবারিক কারণে এই সফরের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অবসরে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নেই। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন শুধু মুশফিকুর রহিম।
মুমিনুল হকের নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ এবার যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে। শেষ মুহূর্তে টাইফয়েডে আক্রান্ত সাইফ হাসানও যেতে পারছেন না। দলের বেশিরভাগই বয়সে নবীন। হাতেগোনা ২-৪ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিকেটার আছেন বেশ কয়েকজন।
এর মধ্যে ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয় যাচ্ছেন একটি মাত্র টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। পেসার শহিদুল ইসলাম ও নাইম শেখ এখনও টেস্ট ক্যাপ পরার অপেক্ষায়।