শিরোনাম
প্রায় আড়াই দিন বৃষ্টির কারনে খেলা না হওয়ার পরও ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে ১৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। সূত্র: আরটিভি
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর আশা জাগিয়েও হতাশ করেছে ব্যাটাররা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও সহজ স্বীকারোক্তি, “প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো করার সুযোগ ছিল আমাদের। সাকিব, লিটন ও মুশফিক ভালো খেললেও শেষ পর্যন্ত আমরা হেরেছি। শুরুতে যদি দ্রুত দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায়। আমাদেরও তাই হয়েছে।”
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল ৫৭ ওভার। দ্বিতীয় দিনে ৬ ওভার ২ বল আর তৃতীয় দিনে মাঠেই গড়ায়নি বল। চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান তোলে সফরকারীরা।
দলের পক্ষে বাবর আজম করেন সর্বোচ্চ ৭৬ রান। এছাড়া আজহার আলী ৫৬, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩ ও ফাওয়াদ আলম করেন পঞ্চাশ রান।
চতুর্থ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই ইনিংস ছাড়ে পাকিস্তান। শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে ৭৬ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে আর ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৮৭ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফলো-অনে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে আবারও সেই একই শুরু। প্রথম ইনিংসের ভরাডুবি দ্বিতীয় ইনিংসেও। পঞ্চাশ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে টাইগাররা।
ওপেনার সাদমান ইসলাম ২, মাহমুদুল হাসান ৬, নাজমুল হোসেন ৬, মুমিনুল হক ৭ রানে ফেরার পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস মিলে কাটিয়ে দেন মধ্যাহ্ন বিরতি।
দুজনের ব্যাট আশা দেখাচ্ছিল দলকে। কিন্তু সাজিদ খানের লাফিয়ে ওঠা বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ফাওয়াদ আলমের হাতে।
দুজনের জুটি ভাঙে ৭৩ রান যোগ করে লিটনের ৪৫ রানে বিদায়ের মধ্য দিয়ে। খানিক বাদে মুশফিকও ফেরেন রান আউট হয়ে। তার আগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন ৪৯ রানের। মুশফিক করেন ৪৮ রান।
লিটন-মুশফিক বিদায় নিলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাকিব। একপাশ আগলে রেখে একাই সামলাচ্ছিলেন। দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটি বেঁধে দলকে যখন এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ান বাবর আজম।
আন্তর্জাতিক টেস্টে দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই তুলে নেন মিরাজের উইকেট। ১৪ রানের মাথায় মিরাজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে উল্লাসে ফেটে পড়ে সফরকারীরা।
এখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা। তবে তার আগেই অর্ধশতক পূর্ণ করে টেস্ট ক্রিকেটে সাকিব পূর্ণ করেন চার হাজার রান। এছাড়াও চার হাজার রানের সঙ্গে ২০০ উইকেট নেয়া দ্রুততম ক্রিকেটারও এখন সাকিব। এই রেকর্ড অর্জন করতে সাকিব খেলেছেন ৫৯ টেস্ট।
শেষ পর্যন্ত সাকিবও পারেননি ম্যাচটা বাঁচাতে। ১৩০ রানে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়েছেন সাজিদ খানের বলে। শেষে তাইজুল ইসলাম, এবাদতরা ব্যর্থ হয়েছেন উইকেটে টিকে থেকে দিন শেষ করতে।
এই ম্যাচে মোট ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাজিদ খান। দুই টেস্টে মোট ২৬৩ রান করে আবিদ আলী হয়েছেন সিরিজ সেরা।