শিরোনাম
চট্টগ্রাম টেস্টে হাসান আলী ও শাহিন আফ্রিদি মিলে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। গোটা ম্যাচেই দুজন একই মেজাজে বল করেছেন, ভয় ধরিয়েছেন টাইগার ব্যাটারদের। সফলতাও পেয়েছেন দুজনে।
এই সফলতার পেছনেও রয়েছে গল্প। প্রতিপক্ষের ব্যাটার যখন উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখন দুজনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন কীভাবে ফাঁদে ফেলতে হবে। তাতেই সফল তারা। এমনকি প্রথম টেস্টে শাহীন আফ্রিদি দুই বলে দুটি উইকেটও নেন।
দুজনে ২০ উইকেটের ১৪ উইকেট নিলেও ঢাকা টেস্টের আগে শাহীন আফ্রিদি বেশ সতর্ক। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের উইকেট নেয়াটা খুব সহজ না।
‘টেস্ট ক্রিকেটে টানা দুই বলে উইকেট নেয়াটা কখনোই সহজ নয়। সত্যিই কঠিন। টেস্ট ক্রিকেট এটির নাম, কারণ এখানে প্রতিটি সেশন, প্রতিটি মিনিট কঠিন ক্রিকেট হয় ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করি এবং উপভোগ করি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট নেওয়া সহজ নয়। ওদের বেশ কজন ভালো ক্রিকেটার আছে। আমি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
পাকিস্তানি পেসাররা বেশিরভাগ উইকেট নিতে পারলেও টাইগার পেসাররা ছিলেন একেবারেই সাদামাটা। বিশেষ করে উপমহাদেশের উইকেটে পেসবান্ধব না হলেও হাসান-আফ্রিদি কীভাবে উইকেট নিলেন?
এ নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘এশিয়ার সব উইকেটই আসলে কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে যে স্পিনারদের সহায়তা বেশি মেলে। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ে জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেঁধে বল করতে হয়। হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে এবং হাসানের সঙ্গে যখনই আমি বোলিং করি, আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেই যে, কে কখন আক্রমণ করবে, কে রান আটকে রাখবে। হাসানেরও তাই ভূমিকা আছে। আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, ৩ ওভারের স্পেল হোক বা ৫ ওভারের, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফরম্যান্স করতে চাই।’
হাসান-আফ্রিদি জুটি শুধু বাংলাদেশেই সফল নয়, গত এক বছরে দুজনে মিলে নেন ৮৩টি উইকেট। আফ্রিদি স্বীকার করেছেন, হাসান আলীর সঙ্গে বোলিংটা উপভোগ করেন তিনি।
‘হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করি। এ বছর ৩৯ উইকেট ওর, আমার ৪৪টি। আমরা জুটি বেঁধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কোনো ব্যাটসম্যান ভালো খেলতে থাকলে কিভাবে তাকে আটকে রাখা যায় বা দ্বিধায় ফেলা যায়। হাসানের সঙ্গে বোলিং করতে তাই ভালো লাগে। কারণ সে লড়াকু, লড়াই চালিয়ে যায়।’