শিরোনাম
বাংলাদেশ সফরটা একদমই ভালো কাটছে না সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজমের। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পর এবার টেস্ট সিরিজেও প্রথম ইনিংসে বড় কিছু করতে পারলেন না পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাকে অল্পেই সাজঘরে পাঠালেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
পাকিস্তানের ইনিংসের ৭৩তম ওভারে আক্রমণে ছিলেন মিরাজ। দ্বিতীয় বলেই তাকে বাউন্ডারি হাঁকান বাবর, পৌঁছে যান ব্যক্তিগত ১০ রানে। তবে এক বল পর প্রতিশোধ নিয়ে নেন বাংলাদেশের অফস্পিনার। সরাসরি বোল্ড করে ১০ রানেই বাবরের বিদায়ঘণ্টা বাজান তিনি।
অফস্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারিটি পেছনে পায়ে আলতো ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন বাবর। কিন্তু সেই বলটি টার্ন না করা সোজা চলে যায় বাবরের ব্যাটের বাইরের কানা দিয়ে, সোজা আঘাত হানে অফস্ট্যাম্পে। আনন্দ উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৯ রান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করে ১০৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডানহাতি ওপেনার আবিদ আলি। নতুন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এসেছেন অভিজ্ঞ ফাওয়াদ আলম।
শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন পাক্কা দুই সেশন বোলিং করেও পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে তৃতীয় দিন অর্থাৎ রোববার দিনের প্রথম ওভারেই জোড়া সাফল্য তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরান অভিষিক্ত ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলিকে।
আগেরদিন করা বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। দিনের প্রথম বলেই এক রান নিয়ে শফিককে স্ট্রাইক দেন আবিদ আলি। পরপর তিন বল ডট খেলেন শফিক। ওভারের পঞ্চম বলে করতে চেয়েছিলেন স্কয়ার কাট।
কিন্তু তার সেই শটটিতে বল ব্যাটে লাগার আগে আঘাত হানে প্যাডে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ারও। খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছিল, বল আঘাত হানতো স্ট্যাম্পে। তাই আর রিভিউ নেয়নি পাকিস্তান।
যার ফলে শফিকের অভিষিক্ত ইনিংসের সমাপ্তি ঘটেছে ১৬৬ বলে ৫২ রান করে। যেখানে ছিল দুইটি করে চার-ছয়ের মার। শফিক ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ৯ রানেই। তাইজুলের বলে ঠিক একইভাবে প্যাডে লেগেছিল শফিকের। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। ফলে বেঁচে যান শফিক।
ওপেনারের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নেমেছিলেন অভিজ্ঞ আজহার আলি। তাকে প্রথম বলেই বোকা বানান তাইজুল। মিডল স্ট্যাম্পে পিচ করা ডেলিভারি ডিফেন্ড করলেও তার ব্যাট পেরিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে।
এবারও জোরালো আবেদন বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। কিন্তু সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। টিভি রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন আজহার। চার নম্বরে নামেন অধিনায়ক বাবর।
ডানহাতি ওপেনার আবিদ আলির সঙ্গে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করছিলেন বাবর। আগেরদিনের মতোই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন আবিদ। বাংলাদেশের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি তিনি। দেখেশুনে খেলে ইনিংসের ৬৮তম ওভারে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন আবিদ। যা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি।
তবে আবিদকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দেওয়া হয়নি বাবরের। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করতে পেরেছেন ৪৬ বলে ১০ রান।