শিরোনাম
দলীয় ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর প্রথম সেশনে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। মধাহ্নভোজের আগে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লিটন ১৮৩ বলে ৯২ রান ও ১৬০ বলে ৭২ রান করে মুশফিক অপরাজিত আছেন। দেড়শো পার করা এই পার্টনারশিপে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় সেশনেও কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে যেখন দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। শুরুতে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিন শুরু করলেও ওপেনার সাইফ হাসান শাহিন শাহ আফ্রিদির ১৪১.৯ কি.মি বা ৮৮ মাইলের বাউন্সারে শর্ট লেগে দাঁড়ানো আবিদ আলীর হাতে বল তুলে ১৪ রানে আউট হোন।
বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। হাসান আলীর বলটি সুইং করে এসে সাদমানের প্যাডে লেগে সাইফের সমান রানেই ফেরেন সাদমান। চার নাম্বারে নামা অধিনায়ক মুমিনুল হক ধীরেসুস্থে আগানোর চেষ্টা করেও সাজিদ খানের স্পিনে কাটা পড়েন ৯ রানে। নাজমুল হাসান শান্তও পারেনি সাইফ-সাদমানকে ছাড়াতে। ফাহিম আশরাফের বলে পয়েন্টে সাজিদ খানের তালুবন্দি হোন শান্ত।
তখন উইকেটে এসে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন। তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০তম অর্ধশতক। কম যাননি মুশফিকও, একই পথে হাঁটেন তিনি। হাসান আলীকে ব্যাক টু ব্যাক চার মেরে পঞ্চাশ উদযাপন করেন মিস্টার ডিপেন্ডবল।