শিরোনাম
সম্প্রতি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলংকা দলের কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। পেস আক্রমণে ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়ানো মালিঙ্গার এই অবসরে বিশ্ব ক্রিকেটজুড়ে স্তুতির জোয়ার বয়ে যায়। সূত্র: যুগান্তর
অনেকেই মালিঙ্গার প্রশংসা করে ক্রিকেটে তার ভূরি ভূরি রেকর্ড-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। বেদনার সুর বেজে ওঠে তাদের কণ্ঠে।
তবে সেই দলে খুঁজে পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। মালিঙ্গার অবসরে তিনি উল্টো খুশিই হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ধারাভাষ্যকার ও শ্রীলংকার সাবেক তারকা রাসেল আর্নল্ডের শো ‘চিলিং উইথ রাসেল’-এ এমনটাই জানালেন তামিম।
উল্লেখ্য, লঙ্কান পেস কিংবদন্তির বলে কম ভোগান্তির শিকার হননি তামিম। মালিঙ্গার শেষ ওয়ানডে ম্যাচেই দুর্দান্ত ইয়র্কারে শূন্য রানে আউট হন তামিম। প্রথম ওভারেই আউট হন তিনি।
সব মিলিয়ে ১৩ আন্তর্জাতিক ম্যাচে মালিঙ্গার মুখোমুখি হয়েছেন তামিম। এরমধ্যে পাঁচটি ওয়ানডেতেই মালিঙ্গার বলে আউট হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে তিনবারই শূন্য রানে। পাঁচ আউটের চারবারই বোল্ড হয়েছেন মালিঙ্গার দ্রুতগামী বলে।
শোয়ে সেই কথাগুলো তামিম ইকবালকে মনে করিয়ে দেন এক দর্শক।
তখন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার হেসে দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনেকে মালিঙ্গার অবসর নিয়ে দুঃখ পেয়েছে। আমি তাদের মধ্যে নই। আমি বেশ খুশি যে, সে অবসর নিয়েছে। কারণ ওই ইয়র্কারগুলো খেলা মোটেও মজার ছিল না, নিশ্চিত করে বলতে পারি! আমি খুশি যে, তার মুখোমুখি আর হতে হবে না। ওই ইয়র্কারগুলো, ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারগুলো করে সে আমাকে আউট করেছে বেশ কবার। আমি তাকে শুভকামনা জানাই পরের অধ্যায়ের জন্য।’
এমন বক্তব্য দিয়ে পরে মালিঙ্গার ভূয়সী প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি তামিম।
তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন বোলার ছিলেন মালিঙ্গা। সবাই একমত। শ্রীলংকার দারুণ একজন খেলোয়াড় তিনি। যখনই আমি তার বিপক্ষে খেলেছি, দেখেছি তাকে হৃদয় উজাড় করে খেলতে। সত্যিকার অর্থেই চ্যাম্পিয়ন বোলার। ’