শিরোনাম
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও কোচ সাকলাইন মোশতাকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন। আইনজীবী মো. মাহবুবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। এ বিষয়ে বিকেলে আদেশ দেওয়া হবে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মনসুর রানা, শাদাব খান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেকার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির ও শহীদ আসলাম।
এর আগে গেল বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর জন্য শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন থেকে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে এ দাবি জানানো হয়। পতাকা ওড়ানোর ঘটনায় নীরব ভূমিকার জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অপসারণেরও দাবি তুলেছে সংগঠনটি।
সমাবেশে ভাস্কর রাশা বলেন, “পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে বিসিবির নীরবতা আমাদেরকে হতাশ করেছে। বিসিবির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে অবশ্যই দেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে।
পরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। উল্লেখ্য, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি টেস্ট খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের অনুশীলন করেন হাফিজ-শাহিনরা।
সেদিন মিরপুরে পাকিস্তান দলের নেট প্র্যাকটিস করার সময় অভিনব একটি জিনিস ধরা পড়ে সবার চোখে। শের-ই-বাংলা অ্যাকাডেমির পশ্চিম-উত্তর কোণে নেটের দুদিকে নিজেদের জাতীয় পতাকা টানিয়ে ব্যাট-বোলিং প্র্যাকটিস করতে থাকেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়েছে এক মুহূর্তেই।
পরে পাকিস্তানের এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস। ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে সাকলায়েন মুশতাক যখন অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে ছিলেন একই কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও এমনটা করতে দেখা গেছে সাকলাইনকে। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’