শিরোনাম
বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সফর দারুণ সময় পার করছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে এক ম্যাচও না হেরে একমাত্র দল সেমিফাইনালে ওঠা ম্যান ইন গ্রিনরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হেরে ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে। বিশ্ব আসর থেকে বাদ পড়লেও বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা মন জয় করে নেয় ক্রিকেট প্রেমীদের।
বাংলাদেশ সফরেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে বাবর আজমের দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সিরিজ। অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাট এ সিরিজে কথা না বললেও একটা রেকর্ড অবশ্য নিজের ঝুলিতে পুরে ফেলেছেন তিনি। বনে গেছেন, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের মালিক।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাবর করেছেন ৫ বলে ১ রান। এতেই রেকর্ডটা তার হাতে আনার জন্য যথেষ্ট ছিল। মোহাম্মদ হাফিজকে টপকে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের রেকর্ড এখন পাকিস্তান অধিনায়কের।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১ নাম্বারে থাকা এই ব্যাটার ৬৫ ইনিংস খেলে করেছেন ২৫১৫ রান। বাবর এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৪৭.৪৩ গড় নিয়ে। বর্তমানে তার স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৮। তার ঝুলিতে আছে একটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ হাফিজের রান ২ হাজার ৫১৪, যা তিনি করেছিলেন বাবরের চেয়ে ৪৪ ইনিংস বেশি খেলে। তিনে থাকা শোয়েব মালিকের রান ২৪২৩, তিনি এ রান তুলতে খেলেছেন ১১০ ইনিংস।
পাকিস্তান ওপেনারের এই রানের সিংহভাগই অবশ্য এসেছে চলতি বছর। ২২ ইনিংস খেলে ৮৩৪ রান করেছেন তিনি। চলতি বছর সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। তার সামনে আছেন তারই ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবরের সমান ২২ ইনিংস তার রানসংখ্যা ১০৮৩। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রান ছোঁয়ার কীর্তি একমাত্র এটিই।
পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর আরও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলবেন বাবর। আর ১৬৬ করতে পারলে এই মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলবেন তিনিও।