শিরোনাম
দেড় বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে দর্শক ফিরেছেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ঘরের মাঠের কোনো সিরিজে গ্যালারিতে যেতে পারছেন দর্শক। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা হলেও অস্বস্তি উপহার দিয়েছেন দর্শকেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে করোনার বিধিনিষেধ ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েছেন এক দর্শক। জৈব সুরক্ষাবলয়ের কঠিন নিয়মের মধ্যে একজন দর্শকের এভাবে খেলোয়াড়দের কাছে চলে যাওয়ার পর দুই বোর্ড সিরিজ নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়, সেটা নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচেই মিরপুরের দর্শকদের আরেকটি কাণ্ড বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বাগতিক দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন দর্শকেরা, যা দেখে ফখর জামানের মনে হচ্ছে, ম্যাচ পাকিস্তানেই হচ্ছে।
প্রথম ম্যাচে গ্যালারিতে বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের সমর্থকই যেন তুলনামূলক বেশি ছিল। এমনকি গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকাও উড়েছে। এ নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজের হতাশা লুকাতে পারেননি।
শুক্রবার ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি, ‘খেলার সঙ্গে কোনো কিছু মেলানো যায় না এটা ঠিক, কিন্তু খেলাটা যখন আমাদের দেশে, আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশই খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ ওড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। যে যাই বলুক, ভাই, দেশটা কিন্তু আপনার। আজ হয়নি তো কাল হবে, না হলে পরশু হবে। আপনারা পাশে না থাকলে আর হবেই না। হারি বা জিতি স্টেডিয়ামে আমাদের দেশের পতাকা উড়ুক, চিৎকার হোক বাংলাদেশ।’
মাশরাফির এই স্ট্যাটাসের পরও শনিবার গ্যালারিতে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন অনেক দর্শক। শনিবার তাই ম্যাচসেরা ফখর জামানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এ ব্যাপারে। ফখর এর জবাবে জানান, এত সমর্থন তাঁদেরও বিস্মিত করেছে, ‘আমি বুঝতে পারছি না (এত সমর্থনের কারণ)। ২০১৮ সালেও এখানে এসেছিলাম, তখন এত মানুষকে আমাদের সমর্থন করতে দেখিনি। সবাইকে ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে, পাকিস্তানেই ম্যাচ হচ্ছে। উইকেট পেলে বা ভালো শট খেললে বেশ সমর্থন পাচ্ছি। বাংলাদেশের সমর্থকেরাও আমাদের সমর্থন করছেন। বেশ ভালো লাগছে।’
সূত্র: প্রথম আলো