শিরোনাম
নেই সিনিয়র প্লেয়ার। আছেন শুধু ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের যা অবস্থা, তাতে তরুণ টিমই বলা যেতে পারে। সেখানে প্রতিপক্ষ পূর্ণ শক্তির পাকিস্তান দল। কেমন হবে লড়াই?
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। বেলা দুইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।
পাকিস্তান এই মুহূর্তে আছে তুমুল ছন্দে। সবেই বিশ্বকাপ শেষ করে এসেছে দলটি। ফাইনালে না উঠলেও এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান কেমন অপ্রতিরোধ্য ছিল তা সবারই জানা। সুপার টুয়েলভ পর্বে টানা পাঁচ জয় পাওয়া একমাত্র দল তারা। সেমিতে তারা অল্পের জন্য হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে।
সেই তুলনায় বাংলাদেশ হিসাব-নিকাশের বাইরেই বলা চলে। বাছাই পর্বে অখ্যাত দুই দলের বিরুদ্ধে জয় বাদ দিলে হিসাবের খাতা শূন্য। সুপার টুয়েলভ পর্বে হারতে হয়েছে সব ম্যাচে। এর উপরে দলে এসেছে ব্যাপক রদবদল। ইনজুরিতে সাকিব, তামিম, সাইফউদ্দিন। বিশ্রামে মুশফিক। ফর্মহীনতায় বাদ সৌম্য ও লিটন।
তারপরও হাল ছাড়ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। তারুণ্যে আস্থা রাখছেন তিনি। তার মতে, সিরিজ হবে চ্যালেঞ্জিং। টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলই ফেভারিট হয়ে উঠতে পারে। মাহমুদউল্লাহর চোখ শুরুতেই বাজিমাত করা। মানে শুরুটা রঙিন করতে চান টাইগার অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ইয়াং টিম। তবে সবাই ক্যাপাবল। নির্দিষ্ট দিনে সেরাটা দিতে পারলে সাফল্য আসবে। সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা শুরুটা ভালো করতে চাই।’
মিরপুরের উইকেট বড় ফ্যাক্টর। মাহমুদউল্লাহর কাছে উইকেট ভালো মনে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উইকেট ভালোই মনে হলো। আশা করি, এটা ভালো উইকেট হবে। বিশ্বকাপের পর আমাদের বড় একটা চ্যালেঞ্জ এই সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলার এবং সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়ার জন্য ভালো একটা সুযোগ।’
লিটন-সৌম্যরা না থাকায় বাংলাদেশের একাদশে বড় কৌতূহলের জায়গা টপ অর্ডার। মোহাম্মদ নাইম শেখ থাকছেন নিশ্চিতভাবেই। সাথে সাইফ নাকি শান্ত, সেটিই প্রশ্ন। কিংবা থাকতে পারেন তিনজনই। সেক্ষেত্রে নাঈম-সাইফকে ওপেনিংয়ে আর শান্তকে দেখা যেতে পারে তিনে। এই তিনজনই খেললে ইয়াসির আলি চৌধুরীর কাঙ্ক্ষিত অভিষেক পিছিয়ে যেতে পারে আরো।
বোলিং আক্রমণে তিন পেসার নাকি দুটি, সেটা নির্ভর করবে উইকেটের ওপর। স্পিন আক্রমণে শেখ মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদের থাকা এরকম নিশ্চিতই। তিন পেসার খেললে কমে যাবে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে খেলানোর সম্ভাবনা।
তবে দিনশেষে, একাদশে যে-ই খেলুক, একা পার্থক্য গড়ার মতো ক্রিকেটার এই দলে নেই, তা বলাই যায়। ভালো ফল পেতে বাংলাদেশকে তাই নির্ভর করতে হবে দুর্দান্ত দলীয় পারফরম্যান্সের উপর।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দল মোকাবিলা করেছে ১২ ম্যাচে। পাকিস্তানের জয় ১০টি, বাংলাদেশের দুটি। দুটি জয়ই বাংলাদেশ পেয়েছিল মিরপুরে। এবারো তিন ম্যাচই হবে এই মিরপুরে। যেখানে ঘরের মাঠে পরিচিত আবহাওয়ার সাথে টাইগাররা পাবে অনেকদিন পর দর্শকদের সমর্থন। কতটা লড়াই করতে পারে মাহমুদউল্লাহ ব্রিগেড, তাই দেখার বিষয়।