শিরোনাম
৬৩ বছরের রেকর্ড ভাঙলে এমবাপ্পে। একাই করলেন চার গোল। এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের আগুনে ফর্মে রীতিমতো উড়ে গেছে কাজাখাস্তান।
শনিবার রাতে প্যারিসে ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে কাজাখাস্তানকে ৮-০ গোলে নাস্তানবুদ করে ছেড়েছে ফ্রান্স। কাজাখাস্তানের জালে এমবাপ্পের এক হালি পূরণ ছাড়াও জোড়া গোল পেয়েছেন আরেক ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। একটি করে গোল পেয়েছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান ও আদ্রেইন রাবিও। ৮ গোলের জবাবে একটিও শোধ করতে পারেনি কাজাখরা।
ফিফা র্যাংকিংয়ের ১২৫তম স্থানের দল পেয়ে শনিবার তেতে ওঠে ফরাসিরা। ম্যাটের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। ৬ মিনিটেই থিও হার্নান্দেজের কাট ব্যাকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে দিয়েন গোল উৎসবের শুরুটা করেন এমবাপ্পে। ১২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক বক্স ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন এই পিএসজি তারকা।
৩২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান এমবাপ্পে। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে কাজাখাস্তান। দেখার বাকি ছিল শেষ অবধি কত গোলে হারে দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ভেলকি দেখান করিম বেনজেমা। ৫ মিনিটে জোড়া গোল পূরণ করেন তিনি। ৫-০ ব্যবধানে খেলা এগিয়ে যায় ৭৫ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ফের কাজাখ শিবিরে আঘাত হানেন রাবিও।
কাজাখের জালে হাজডজন গোল পূরণ করে ফ্রান্স। এমবাপ্পে, বেনজেমার পর গ্রিজম্যান গোল না পেলে যেন চোখে ভালো ঠেকবে না। সেটাই করে দেখালেন এই অভিজ্ঞ ফরাসি তারকা। ৮৪তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে স্কোরলাইন ৭-০ করেন গ্রিজম্যান। আর কত গোল হজম করবে কাজাখরা সে কথা ভাবতেই ফের এমবাপ্পের আঘাত। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপ্পে। জায়গা করে নেন ইতিহাসের পাতায়।
১৯৫৮ সালের জুনে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের হয়ে ৪ গোল করেছিলেন জুস্ত ফঁতেইন। এরপর ৬৩টি বছর পেরিয়ে গেলেও সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেনি কেউ। ২০২১ সালে এসে এমবাপ্পে ভাঙলেন সেই রেকর্ড।