শিরোনাম
এসিসি, আইসিসির সভায় যোগ দেয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপে নিজ দলকে উৎসাহ জোগাতে আরব আমিরাত গিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আরব আমিরাতে নিজ চোখে জাতীয় দলের ব্যর্থতা দেখে হতাশায় কিছু মন্তব্যও করে ফেলেছেন বিসিবি বিগ বস।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম আকার ইঙ্গিতে বোর্ড সভাপতির সে সব কথার জবাবও দিয়েছেন। সব মিলিযে দলের মধ্যে একটা অস্বাভাবিক ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটেছিল আরব আমিরাতে। অনেকেরই মত এবারের বিশ্বকাপের সময় বোর্ড সভাপতির মন্তব্য ক্রিকেটারদের মানসিক জোর বাড়ানোর বদলে দূর্বল করে দিয়েছে।
এদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল বিদায়ের পর থেকে দেশে ফিরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসার জন্য গতকাল শনিবারই লন্ডন চলে গেছেন নাজমুল হাসান পাপন।
ঢাকায় একদিনের অবস্থানকালেই বিসিবি সভাপতি দেশে থাকা দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আব্দুর রাজ্জাক, কয়েকজন শীর্ষ পরিচালক এবং বিসিবি সিইও’র সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। পুরো পারফরমেন্সের একটা চুলচেরা বিশ্লেষণও হয় তার গুলশানের বাসায়।
এদিকে বিসিবি সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আর বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকেও তার বাসায় চায়ের আমন্ত্রণ জানান। তাদের সঙ্গেও শুক্রবার রাতে একান্তে আলোচনা হয় বিসিবি সভাপতির।
সেখানে জাতীয় দলের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়ে অনেক কথা হয়। তামিমকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথাও বলেন বোর্ড প্রধান।
তামিম খেলতে অস্বীকৃতি জানান। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি প্রধান তামিকে ওয়ানডের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক করারও প্রস্তাব দেন।
এ খবর বাইরে বেশ চাওর হলেও বোর্ডের একাধিক শীর্ষ কর্তা তামিমকে অধিনায়ক করার প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
তবে দল নিয়ে বিসিবি বিগ বস অনেক কথাবার্তা বলেছেন এবং তামিম ও মাশরাফির কথা শুনে তিনি কিছু তাৎক্ষনিক পদক্ষেপও নিয়েছেন। যার প্রথম পদক্ষেপ হলো ভিনদেশি কোচদের কাজকর্ম তদারক করতে টিম ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়োগ দান এবং দেশের অন্যতম কুশলী ও দক্ষ প্রশিক্ষক মোহাম্মদ সালাউদ্দীনকে জাতীয় দলের সাথে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ।
তারই ফলশ্রুতিতে রোববার সুজন ৭ তরুণকে নিয়ে অনানুষ্ঠানিক অনুশীলনও শুরু করেছেন মিরপুরে। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোচ সালাউদ্দীনও।
বিসিবি সভাপতির এ দুটি পদক্ষে দেখে ও শুনে ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন, তবে কী ৮ বিদেশী কোচিং প্যানেলেও রদবদল ঘটতে যাচ্ছে? রোববার শেরে বাংলাং সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
প্রশ্ন ছিল কোচিং স্টাফ নিয়েও কথা বার্তা হচ্ছে? সুজন তা স্বীকার করে বলে ওঠেন, ‘ট্যুর খারাপ হলে আলোচনা হবেই। আলোচনার ব্যাপারটা থাকবেই। অবশ্যই আমাদের দলের জন্য যেটা ভালো সেটি বিসিবি সবসময় করার চেষ্টা করে। আমরা তো চাই বিশ্বের সেরা কোচটাকে আনতে, সবসময় তো তারা এভেইলেভল থাকে না। অন্য কমিটমেন্ট থাকে। বোর্ড চিন্তা করবে।’
এটুকু বলার পর বাংলাদেশের নতুন টিম ডিরেক্টর ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সের জায়গায় বিকল্প খোঁজার কথা স্বীকার করেন। অ্যাশওয়েল প্রিন্সের কাজে দল সন্তুষ্ট কি না? তা খুটিয়ে দেখার কথা জানিয়ে সুজন বলেন, ‘ব্যাটিং কোচের ব্যাপারটা দেখা হচ্ছে। যেহেতু অ্যাশওয়েল কাজ করছে এখন ওর দিকে সন্তুষ্ট কি না, তা নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি। যেহেতু পুরো টিম এখনো আসেনি। পুরো ম্যানেজমেন্ট তাদের সঙ্গে আমাদের বসতে হবে। ওদের কথা তো শুনতে হবে। কারণটা কী? আমরা কেন পারিনি? সেটি তাদের কাছ থেকেও শুনতে হবে।’
সূত্র: জাগো নিউজ