শিরোনাম
২১০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার পর ভারতের প্রয়োজন ছিল অন্তত ৬০ রানের ব্যবধানে জয়। তাহলে তাদের রানরেটটা মাইনাস থেকে প্লাসে চলে আসবে।
যাতে করে শেষ দুই ম্যাচে নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের সঙ্গে আরও ভালো রানরেটে জিততে পারে বিরাট কোহলিরা এবং তাতে সেমিফাইনালে খেলাটা সহজ হবে তাদের জন্য।
আপাতত প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ভারতের। ২১১ রানের লক্ষ্য দিয়ে আফগানিস্তানকে ১৪৪ রানে থামিয়ে দিয়েছে ভারত। ম্যাচ জিতেছে ৬৬ রানে। যার ফলে ভারতের রানরেট দাঁড়িয়েছে ০.০৭৩ এ। এই জয়ের ফলে সেমিতে ওঠার স্বপ্ন ভালোভাবেই টিকিয়ে রেখেছে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং।
প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল ভারত। শঙ্কা দেখা দিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নেয়ার। এখনও সম্ভাবনা দুলছে পেন্ডুলামের মত। অনেক ‘যদি, ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছে তাদের সেমিতে খেলা।
তবে, তার আগে নিজেদের কাজটা তো করতে হবে! সে কাজটাই প্রাথমিকভাবে সেরে রাখলো আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে।
সবচেয়ে বড় কথা, এ টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে আফগানদের যে লড়াকু মানসিকতার দেখা গিয়েছিল, ভারতের বিপক্ষে তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। শুরু থেকেই কেমন যেন অসহায় আত্মসমর্পন। টস জিতে ফিল্ডিং নিলো। রাতে যেখানে শিশির পড়ে, বোলিং করতে সমস্যা হয়, সেখানে কেন মোহাম্মদ নবি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা দেখে অনেকেই অবাক।
ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে নিজেদের মেলে ধরলো ভারতীয়রা। আফগানদের বোলিংয়ে যে দুর্ধর্ষ দেখা যাচ্ছিল, এই ম্যাচে তার একটুও ছিল না। পুরোপুরি নখদন্তহীন বোলিং। সুতরাং, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ২১০ রান উঠে গেলো বোর্ডে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য মোহাম্মদ শাহজাদের উইকেট হারিয়ে বিপদে আফগানরা। হযরতুল্লাহ জাজাই চেষ্টা করেছিলেন মারমুখি হওয়ার। ১টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কাই তার প্রমাণ। কিন্তু জসপ্রিত বুমরাহর বলে ক্যাচ তুলে দেন জাজাই। বল ধরেন শার্দুল ঠাকুর।
এরপর রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং গুলবাদিন নাইব মিলে সাময়িক ঝড় তোলার চেষ্টা করলেন। গুরবাজ পরপর দুটি ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ভারতের জন্য ম্যাচটা সহজ হবে না। তার সঙ্গে যোগ দেন গুলবাদিন নাইবও।
কিন্তু রবিন্দ্র জাদেজা বোলিংয়ে আসতেই চুপসে যান এ দু’জন। শেষ পর্যন্ত জাদেজাকে ছক্কা মারে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। ১০ বলে করলেন ১৯ রান। এরপর রবিচন্দ্র অশ্বিন বোলিংয়ে আসার পর গুলবাদিন নাইব হয়ে গেলেন ক্লিয়ার এলবিডব্লিউ। ২০ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
নজিবুল্লাহ জাদরান ১৩ বলে করেন ১১ রান। মোহাম্মদ নবি কিছুক্ষণ টিকেছিলেন উইকেটে। ৩২ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। ছক্কা মারেন ১টি, বাউন্ডারি ২টি। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ শামির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে রবিন্দ্র জাদেজার ক্যাচ দেন তিনি।
২২ বল খেলে করিম জানাত করেন সর্বোচ্চ ৪২ রান। তিনি ছিলেন অপরাজিত। শেষ বলে ছক্কা মেরে আফগানিস্তানের রানরেটটা ঠিক রাখার আসল কাজ করলেন তিনি। হারলেও আফগানদের রানরেট ঠিক থাকলো আপাতত। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও রানরেটের ব্যবধানে গ্রুপ-২ এ দ্বিতীয় স্থানেই রইলো আফগানিস্তান।