শিরোনাম
আগের তিন ম্যাচে ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল পাকিস্তান। বাকি ছিল নিশ্চিত হওয়ার। আজ নামিবিয়াকে ৪৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো বাবর আজমরা।
আগেরদিন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। যদিও পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড- দু’দলই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ থেকে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়াকে ১৯০ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে বিশ্বকাপে নবাগত দেশটিও ছেড়ে কথা বলেনি। তাদের মাত্র ৫জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পেরেছে পাকিস্তানের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে তারা থেমেছে ১৪৪ রানে।
হেরে যাচ্ছে যেনেও বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে নামিবিয়া। ডেভিড ওয়াইজ ৩১ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রান করে। ২টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। বাউন্ডারি মেরেছেন ৩টি।
ক্রেইগ উইলিয়ামস খেলেন ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে। এছাড়া ওপেনার স্টিফেন বার্ড খেলেছেন ২৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে। ১৫ রান করেন অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস।
ম্যাচ শেষে নামিবিয়ান ক্রিকেটারদের হাসিমুখে দল বেঁধে ছবি তোলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এই পারফরম্যান্সেও তারা বেশ খুশি। পাকিস্তানের রান যদি ১৮৯ না হয়ে ১৫০-১৬০ হতো, তাহলেও বড় ধরনের একটা ধাক্কা দিয়ে দিতে পারতো নামিবিয়ানরা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে ব্যাটিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আগের তিন ম্যাচেই তারা রান তাড়া করে জিতেছিল। আজ লক্ষ্য ছিল আগে ব্যাট করলে কেমন কী করতে পারবে তারা, সেটা দেখা। আপাতত সে লক্ষ্যে সফল বাবর আজম অ্যান্ড কোং।
৫০ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন অপরাজিত ৭৯ রান। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৪টি। বাবর আজম ৪৯ বল খেলে ৭০ রান করে আউট হন। তিনি কোনো ছক্কা না মারলেও বাউন্ডারি মারেন ৭টি। শেষ দিকে মোহাম্মদ হাফিজ ১৬ বলে খেলেন ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।
সূত্র: জাগো নিউজ