শিরোনাম
অনেকদিন ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তার ব্যাট একেবারেই হাসছিল না। সূত্র: যুগান্তর
ব্যাটে রান না থাকায় আইপিএলে রীতিমতো অপমানিত হয়েছিলেন। অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা, সবশেষ আইপিএলের শেষ পাঁচ ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারকে একাদশেই রাখেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এক ম্যাচে রেখে এসেছিল হোটেলে।
সে সময় চারদিকে ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সবই নিশ্চুপ হজম করেছেন এ অসি তারকা।
এবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জবাব দিলেন বাইশ গজে। ৪২ বলে ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে বড় অবদান রাখলেন দলের জয়ে।
আর ব্যাট কথা বলার পর সমালোচকদের এক হাত নেননি। এসব তার ধাতে নেই বলে জানিয়েছেন। তার কাছে সমালোচনার জবাব মুখের হাসি! সমালোচকদের মুশফিকের মতো আয়না-তত্ত্ব শেখাননি।
শ্রীলংকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেটের দাপুটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
সাংবাদিকরা অবশ্য ওয়ার্নারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন এই সুযোগে তিনি যেন সমালোচকদের ধুয়ে দেন।
কিন্তু বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এক গাল হাসলেন ওয়ার্নার।
সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্ন ছিল, এই ইনিংস কী সমালোচনার জবাব? হাসিমুখে ওয়ার্নারের উত্তর, ‘সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা? নাহ, কখনোই না। এটা খেলাধুলার পৃথিবী। এখানে যেমন চূড়ায় বিচরণ থাকবে, তেমনি তলানির স্বাদও পেতে হবে। শুধু আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে, মুখে হাসি ফোটাতে হবে। কঠিন সময়ে যে যাই বলুক না কেন, মুখ থেকে হাসি সরতে দেওয়া যাবে না। এই ইনিংস সমালোচনার জবাব নয়। যারা আমার সমালোচনা করেন, তারা ঠিকই জানেন, আমি কেমন। আমি নিজেও সেটা জানি। এই তো।’
ওয়ার্নারের সেই জবাবের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই মুশফিকুর রহিমের সেই সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
অনেকের মতে, সেখানে উপস্থিত থাকলে আয়না-তত্ত্বের চেয়ে ঢের ভালো কিছু শিখতে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অন্তত মুশফিক-রিয়াদ শিখতে পারতেন কীভাবে সমালোচকদের আপন করে নিতে হয়!