শিরোনাম
আদিল রশিদ, রশিদ খান। প্রথমজন ব্রিটিশ, দ্বিতীয়জন আফগান। দল ভিন্ন হলেও দুজনের মধ্যে একটা মিল রয়েছে- দু’জনই লেগস্পিনার। লেগস্পিন, গুগলি দিয়ে কাঁপাচ্ছেন চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
যার ফলে হয়তো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, বাবর আজমদের মনে একটু হলেও ‘শঙ্কা’ ভর করেছে। কারণ ২৭ অক্টোবর আবুধাবিতে বাংলাদেশ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ২৯ অক্টোবর দুবাইয়ে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের।
দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা ইংল্যান্ড যেন ম্যাচটিকে ধরে নিয়েছিল ‘ইডেনের প্রতিশোধ’ হিসেবে। এদিন আদিল রশিদ বোলিংয়ে এসেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পরে।
প্রথম বলেই তুলে নিয়েছিলেন ‘টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’ খ্যাত আন্দ্রে রাসেলের উইকেট। রশিদের দুর্দান্ত এক স্লাইডারে রাসেলের ব্যাট-প্যাড ফাঁকি দিয়ে বল ঠিকানা হিসেবে খুঁজে নেয় স্ট্যাম্প।
নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন আরেক ‘বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান’ কাইরন পোলার্ডকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ককে লংঅনে জনি বেয়ারেস্টর ক্যাচে পরিণত করেন ইংলিশ লেগি। ঠিক পরের বলেই ওবেড ম্যাকয়কে লংঅনে জেসন রয়ের ক্যাচে হ্যাটট্রিকের পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন রশিদ।
হ্যাটট্রিক না হলেও উইন্ডিজদের ইনিংসের শেষটা হয়েছিল রশিদের হাত ধরেই। রবি রামপালকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিলেন এই ইংলিশ লেগি। মাত্র ২.২ ওভার বল করে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। রান দিয়েছিলেন মাত্র ২টি।
দু'দিন ব্যবধানে আবারও ‘রশিদ ভেল্কি’ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। ৪৭ কিলোমিটার দূরে শারজায় এবার ‘আফগান রশিদ বিষের’ শিকার হলো স্কটিশরা।
রশিদ খান বোলিং আক্রমণে আসেন ম্যান্ডেটরি পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর। ততক্ষণে স্কটিশদের অর্ধেক অংশ প্যাভিলিয়নে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে; মুজিব-উর রহমানের স্পিন ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয়ে।
এসেই স্কটিশদের তরীর বাকি অংশ ডোবানো শুরু করেন। তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক গুগলিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মাইকেল লিস্ককে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে পাঠান ‘বাংলাদেশ বধের নায়ক’ ক্রিস গ্রিভসকে। অস্ত্র ওই একই, গুগলি আর ডিসমিসালও এলবিডব্লু। ‘ইংলিশ রশিদ’এর মতো এখানেও শেষ পেরেক ঠোকেন আফগান রশিদ।
নিজের তৃতীয় ওভারে টানা দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে স্কটল্যান্ডকে ৬০ রানে গুটানোর লজ্জায় ফেলেন আফগান লেগি।
বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং পাকিস্তানের বাবর আজমরা দুই রশিদের বিধ্বংসী বোলিং সরাসরি দেখেছেন কি না জানা নেই। তবে হাইলাইটও যদি দেখে থাকেন, তাহলে হয়তো রাতে তারা দুচোখের পাতা এক করতে পারবেন না, নিশ্চিত। সূত্র: জাগো নিউজ