মোহাম্মদ শামিকে ‘গালি’ দেওয়ায় যা বললেন শেহবাগ

ফানাম নিউজ
  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১৯

বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৯২ সাল থেকে রোববারের আগ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে অংশ নিয়ে পরাজয় দেখেনি ভারত। ১১ ম্যাচে জয় পাওয়া ভারত, একটি ম্যাচ টাই হয়। 

এমন সমৃদ্ধ স্মৃতি সামনে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে স্রেফ উড়ে যায় বিরাট কোহলিরা। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ১৫১/৭ রানে ইনিংস গুটায় ভারত। 

টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৩ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ম্যাচে অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর ঋষভ পন্থ ভালো ব্যাটিং করেন। বোলিংয়ে তুলনামূলক ভালো করেন জসপ্রিত বুমরাহ। এই তিনজন ছাড়া বাকি সবাইকে বলির পাঠা বানানোর চেষ্টায় মগ্ন ভারতীয় সমর্থকরা। তাদের রোষানলে পড়েছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিও। 

এই তারকা পেসারকে নিয়ে সমর্থকদের বিরূপ আচরণে হতাশ ভারতের সাবেক তারকা পেসার বীরেন্দ্রর শেহবাগ। এক টুইট বার্তায় ভারতের বিশ্বকাজয়ী দলের সাবেক তারকা ওপেনার লেখেন, শামির উপর আক্রমণে আমি হতাশ। সে একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার। যারা ভারতের ক্যাপ পরে মাঠে নামে তাদের নিয়ে এমন বিরূপ মন্তব্য করা আদৌ ঠিক নয়। আমরা সবাই সামির পাশে আছি। 

এদিন দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে সামি খরচ করেন ৮ রান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দেন ১১ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে মাত্র ৩১ রান। সেই সময় ফের বোলিং আনা হয় মোহাম্মদ শামিকে। সেই ওভারে খরচ করেন ৭ রান। 

১৮তম ওভারে ফের যখন বোলিংয়ে আসেন তখন পাকিস্তানের দরকার ১৮ বলে মাত্র ১৭ রান। প্রথম বলে ছক্কার পর টানা দুটি চার খাওয়া শামি ৫ বলেই ১৭ রান দিয়ে বসেন। ৩.৫ ওভারে শামি দেন ৪৩ রান।

এরপরই ভারতীয় কিছু সমর্থক শামিকে আক্রমণ করা শুরু করেন। খেলা শেষে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যখন ড্রেসিরুমে ফিরছিলেন তখন সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক সমর্থক শামিকে নিয়ে কিছু একটা মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন শামি। 

সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তাকে নিয়ে সামালোচনা শুরু হয়। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী বলেছেন ‘পাকিস্তানের দ্বাদশ খেলোয়াড়’। আরেকজন লিখেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতক, নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিলে।’ আরেক সমর্থক বলেছেন ‘ভারত দলের পাকিস্তানি’। একজন লিখেছেন ‘মুসলিম।’