শিরোনাম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অভিযাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৫ থেকে। ২০০৭ সাল থেকে শুরু সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটটির বিশ্ব আসর। টেস্ট এবং ওয়ানডেতে যে পরিমাণ সময় লাগে, টি-টোয়েন্টিতে লাগে অনেক কম। যে কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জনপ্রিয়তা পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু। এরপর অনুষ্ঠিত হয়েছে আরও ৭টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম আসরের ৮টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়িয়েছে। এবার নিয়ে ৯ম।
এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার বিরল রেকর্ডের অধিকারী মাত্র দু’জন ক্রিকেটার। এই দু’জনের প্রথমজন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অন্যজন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
সেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তারা দু’জন। এবার খেলতে যাচ্ছেন ৯ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাঝে ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ এবং ২০২২ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তারা দু’জন।
রোহিত শর্মা এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ৫ জুন ভারত বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচের একাদশে থাকলেই টানা ৯ম বিশ্বকাপে খেলার গৌরব অর্জন করবেন ভারত অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক না হলেও দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাকিব আল হাসান। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের একাদশে ঠাঁই পেলেই টানা ৯ম বিশ্বকাপে খেলার গৌরব অর্জন করবেন সাকিবও।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। এখনও পর্যন্ত ১২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন ১২১.৮৪ স্ট্রাইক রেটে ২৪১০ রান। ৬.৭৬ ইকনোমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ১৪৫টি।
গত আটটি বিশ্বকাপে ৩৬ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। উইকেট নিয়েছেন ৪৭টি। সাকিব আল হাসানই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী বোলার। তার পেছনে যারা রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই এখন অবসরে।
শহিদ আফ্রিদি, লাসিথ মালিঙ্গা, সাঈদ আজমল, অজন্তা মেন্ডিসদের কেউই এখন আর খেলেন না। বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের কাছাকাছি রয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২০২১-২১, এই দুই বিশ্বকাপে ১৬ ম্যাচ খেলে ৩১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
রোহিত শর্মা এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলেছেন ৩৯ ম্যাচ। রান করেছেন ৩৪.৩৯ গড় এবং ১২৭.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ৯৬৩টি। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৭৯। বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের দিক থেকে তিনি রয়েছেন চতুর্থস্থানে। ২৭ ম্যাচ খেলে ১১৪১ রান নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহলি।
সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে ৩৬ ম্যাচে রান করেছেন ৭৪২টি। গড় ২৩.৯৩, স্ট্রাইক রেট ১২২.৪৪। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সাকিব রয়েছেন ৮ নম্বরে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যেও সেরা দুই স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা এবং সাকিব আল হাসান। গত আটটি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা খেলেছেন মোট ৩৯টি ম্যাচ। ৩৬ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে ৩৪ ম্যাচ খেলে সাকিবের পেছনে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার।