শিরোনাম
টেস্ট ক্রিকেটে রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড ৪১৮ রানের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশকে সিলেট টেস্টে জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড পেছনে ফেললেই হবে না, করতে হবে আরও ৯৩ রান বেশি। শ্রীলঙ্কা যে টাইগারদের সামনে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১১০.৪ ওভারে ৪১৮ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। একই টেস্টে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড উপহার দিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তারা।
একইভাবে দ্বিতীয় ইনিংসেও জোড়া সেঞ্চুরি উপহার দিলেন এই দুই ব্যাটারই। ১০৮ রানে করে আউট হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে কামিন্দু মেন্ডিস শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৬৪ রানের বড় ইনিংস খেলে দেন কামিন্দু। ২৩৭ বল মোকাবেলায় গড়া এই ইনিংসে ১৬টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে ৪টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট নাহিদ রানা আর তাইজুল ইসলামের।
কামিন্দু মেন্ডিসের এটা মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট এবং তৃতীয় টেস্ট ইনিংস। এর মধ্যে দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। নিঃসন্দেহে অনেক বেশি সারপ্রাইজিং ক্যারিয়ার শুরু হলো তার, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্রনাট্য। ১২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর একইভাবে জুটি গড়ে দাঁড়িয়ে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস।১৭৩ রানের অনবদ্য জুটি গড়ার পর অবশেষে বিচ্ছিন্ন হন ডি সিলভা-মেন্ডিস জুটি।
১৭৯ বলে ১০৮ রান করা লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। শ্রীলঙ্কার দলীয় রান এ সময় দাঁড়ায় ২৯৯। এরপর কামিন্দুর দেড়শোর্ধ্ব ইনিংসে লিড ৫০০ ছাড়ায়।
অথচ ৯২ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামার পর দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই লঙ্কানদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। দিন শেষে করেছিলো তারা ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে।
যদিও ৫২ রান করা দিমুথ করুনারত্নে আউট হওয়ার পর লঙ্কানরা রাতের প্রহরী (নাইটওয়াচম্যান) হিসেবে উইকেটে পাঠায় বিশ্ব ফার্নান্দোকে। ২ রান নিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন। সঙ্গে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।
আজ তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামার পর বিশ্ব ফার্নান্দোকে দ্রুতই সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ। ২৪ বলে ৪ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।