শিরোনাম
চলতি বিপিএলে নানা সমীকরণের বেড়াজাল পেরিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটর পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে তামিম-মিরাজ। বন্দরনগরীর দলটিকে উইকেটে সাত উড়িয়ে দিয়ে কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করেছে বরিশাল।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে সাত উইকেট এবং ৩১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। এতে চট্টগ্রামের বিদায়ে কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত হয় বরিশালের।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। এরপর তামিম ইকবালের সহজ ক্যাচ তালু বদ্ধ করতে ব্যর্থ হন সৈকত আলী। পরের বল থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম।
বরিশাল অধিনায়কের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখ ব্যাট চালাতে থাকেন কাইল মায়ার্সও। শুভাগত হোমের এক ওভারে ২৬ রান তোলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে ছুটতে থাকে বরিশাল।
২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। পরের বলেই ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর তামিমকে সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। ১৩ বলে ১৭ রান করে মিলার আউট হলেও ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশাল অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৬ বলে ৫ রান এবং তামিম ইকবালের ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট এবং ৩১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে শুভাগত হোম, বিলাল খান এবং রোমারিও শেফার্ড একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। ১৩ বলে ৭ রান করে তামিমকে সঙ্গ দেন ইমরানুজ্জামান।
পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন জশ ব্রাউন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটার। ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১১ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টম ব্রুস। এরপর সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।
১৪ বলে ১১ রান করে সৈকত আউট হলে, ১৬ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শুভাগত। ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন রোমারিও শেফার্ড। শেষ পর্যন্ত নাহিদুজ্জামানের ১৩ বলে ১০ রান এবং সালাউদ্দিন শাকিলের ১১ বলে ৮ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।