শিরোনাম
ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। আজ (রোববার) কমলাপুরে বাংলাদেশ ইনজুরি সময়ে সাগরিকার গোলে বাংলাদেশ পায় প্রত্যাশিত জয় (১-০)। দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। ভারতের ৩। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে মঙ্গলবার ভুটানের বিপক্ষে। ভারতের প্রতিপক্ষ নেপাল।
প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে দুইবার ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লিগ পর্ব ও ফাইনালের জয় ছিল ১-০ গোলে। তিন বছর পর দ্বিতীয় আসরের লিগ পর্বে একই ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ে আফঈদার বাড়ানো বল ধরে সাগরিকা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন ভারতের জালে।
প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত ১০-০ গোলে জিতেছিল ভুটানের বিপক্ষে। দুই দলের লড়াই দেখতে গ্যালারিতে হাজার দেড়েক দর্শক হাজির হয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের গোল মিসের কারণে তারা জয়ের আনন্দে স্টেডিয়াম ছাড়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। শেষ দিকে ভালো কয়েকটা সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে না পারলে হতাশ হন দর্শকরা। তবে শেষ পর্যন্ত শীতের রাতে গ্যালারিতে আসা দর্শকরা জয় উদযাপন করতে করতেই ঘরে ফিরেছেন।
হারলে বিপদ। ড্র করলে উজ্জ্বল হবে সম্ভাবনা। তাই দুই দলই রক্ষণ সামলিয়ে আক্রমণের কৌশলে ছিল। শুরুর দিকে ভারত প্রধান্য নিয়ে খেলেছিল। তারা বারদুয়েক ভালো সুযোগও তৈরি করেছিল। দুর্ভাগ্য তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ৮ ও ১২ মিনিটে পাওয়া ভারতের দুটি সুযোগই নস্যাৎ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডল।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ পুরোপুরি বদলে যায়। তবে দাপুটে ফুটবল খেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। স্বপ্নার পরপর দুটি কর্নার থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল স্বাগতিকদের। একবার সুরমা্ জান্নাতের হেড ভারতের গোলরক্ষক সেভ করেন। আরেকবার বল চয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে। বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারতো শেষ ৮৭ মিনিটে ভারতের গোলরক্ষকের ভুলে ভালো জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মুনকি। তবে তিনি গোলরক্ষকের গায়ে বল মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে গ্যাররিতে উল্লাস ছড়িয়ে দেন নেপালের বিপক্ষে জোড়া গোল করা সাগরিকা। আফঈদা খন্দকারের বাড়ানো লম্বা পাস ধরে একটু সামনে এগিয়ে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভারতের জালে বল পাঠান সাগরিকা। এ নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফে ভারতকে টানা তিনবার হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা।
স্বর্ণা রানী মন্ডল, আফঈদা খন্দকার, জয়নব বিবি রিতা, সুরমা জান্নাত, মুনকি আক্তার , স্বপ্না রানী, মোসাম্মৎ সাগরিকা, পূজা দাস (রিতু), উমেহলা মারমা (রুমা আক্তার), ইতি খাতুন, বন্যা খাতুন।