শিরোনাম
এশিয়ান গেমসের পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ২০২৩ সাল শেষ করেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ডিসেম্বরে হওয়া ওই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে অতিথি দলকে ৩-০ ও ৮-০ গোলে হারিয়েছিল সাবিনা-সানজিদারা।
নতুন বছরে মেয়েদের প্রথম টুর্নামেন্ট সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। এই টুর্নামেন্টের আগে কোচ সাইফুল বারী টিটু তার খেলোয়াড়দের সামনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় দলের ম্যাচ দুটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরছেন।
সাইফুল বারী টিটুর জাতীয় দলের ৫ খেলোয়াড় আছেন এই দলে। তবে বেশিরভাগই নতুন। ১৪ জনকে নেওয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে। দুই বছর আগে যে দলটি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তৎকালীন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, বর্তমানের সাইফুল বারী টিটুর দলের সেরকম অভিজ্ঞতা নেই। তাই কোচ একটু সতর্কই।
নতুন দল নিয়ে চ্যালেঞ্জে নামার আগে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছেন, ‘সিঙ্গপুরের বিপক্ষে ম্যাচের মতোই আমরা ওদের খেলাতে চাই। এখন দেখার বিষয় তারা মাঠে কতটা দিতে পারবে। বেশ কিছু ফুটবলার রয়েছে যারা এবারই প্রথমবার খেলছে। বলতে গেলে এই দলটা আগে কখনো একসাথে খেলেনি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। কতটা কাজ হয়েছে তা কালই মাঠে দেখা যাবে।’
কোচ সব সময়ই বলে এসেছেন প্রতিটি ম্যাচ ধরে তারা এগুতে চান। একই কথা বললেন মাঠে নামার ঠিক আগের দিনও।
‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ আগাবো। নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা জিতলে ফাইনালে দিকে এক পা দিয়ে রাখা হবে। ঐ ম্যাচটাকে আমরা সিরিয়াসলি নিয়েছি।’-কোচ যোগ করেন।
তবে সাইফুল বারী টিটু এটাও বলেছেন, ‘আমি কেবল দিক নির্দেশনা দিতে পারি। সব কিছুই খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে। কোচ ইনফরমেশন দেবেন। কিন্তু মাঠে খেলে দিতে পারবেন না। মাঠে খেলোয়াড়দেই খেলতে হবে। আমি মনে করি, দলের সকলেই প্রস্তুত আছে। মানসিকভাবে তারা বেশ শক্তিশালী। তারা মাঠে ভালো ফল করে দেখাতে পারবে।’
প্রথম প্রতিপক্ষ নেপাল কেমন দল তা অজানা বাংলাদেশ কোচের। এ বিষয়ে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের কোনো ভিডিও নেই আমাদের কাছে। খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার উপরই আমরা ভরসা করছি। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমরা ভারতের খেলা দেখতে পাবো ভুটানের সাথে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে পারবো। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আমরা সেই সুযোগটা পাচ্ছি না।’
এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ কোচের লক্ষ্য কি? এর আগে তিনি ফাইনালে চোখ রেখেই এগিয়েছিলেন। এই প্রশ্নে বাংলাদেশ কোচ জানিয়েছেন, এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ।
কোচ বলেন, ‘আমার ব্যাক্তিগত লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জন্য ট্রফি জয় করা। ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আমি ভাবছি না। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। শিরোপা ধরে রাখাই আমার লক্ষ্য। দেশের সাফল্যটাই আমার কাছে বড়। এটাই আমি খেলোয়াড়দের বলি।’
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেছেন, ‘নেপালের বিপক্ষে আমরা আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছি। ওদের সাথে সব সময় যেমন খেলেছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। মাঠে আমাদেরই খেলতে হবে। কোচ আমাদের নির্দেশনা দেবেন। আমরা সর্বোচ্চ চেস্টা করবো স্যারের (কোচের) মান রাখার। আমরা সবাই এক সাথেই অনুশীলন করি। কোচ সিনিয়রদের যেভাবে বলেন আমাদেরও সেভাবেই বলেন। আশা করতেছি, আমরা সিনিয়রদের মতই করতে পারবো।’