শিরোনাম
শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। টি-টোয়েন্টির হিসেবে খুব মামুলি কিছু নয়। কিন্তু প্রথম বলেই পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহকে রানআউট করে দিয়েছে বরিশাল। নাটক জমে যায় তখনই। কিন্তু মাঠে নেমে বোলার ম্যাথ্যু ফোর্ড হয়ে গেলেন মারকুটে ব্যাটার।
খালেদ আহমেদকে প্রথম মোকাবেলায় নিলেন ২ রান। পরের বলেই মেরে দিলেন ছক্কা। এরপরের বল মারলেন বাউন্ডারি। স্কোর সমান। পঞ্চম বলে ১ রান করে কুমিল্লাকে ৪ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় এনে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার।
বরিশালের ছুঁড়ে দেয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেভাবে কুমিল্লা স্লো ব্যাটিং করছিলো, তাতে মনে হচ্ছিলো এবার বুঝি বিপিএলে প্রথম ব্যাট করা কোনো দল জয়ের দেখা পাবে।
কিন্তু মিডল অর্ডারে ইমরুল কায়েস দাঁড়িয়ে যান বরিশাল বোলারদের মাথার ব্যথার কারণ হয়ে। টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আগের ম্যাচে ৬৬ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। এবার তার করা ৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংসটিই কুমিল্লাকে জয়ের ভিত রচনা করে দেয়। সাথে জাকের আলির ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং কুমিল্লার জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখে।
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার কাছে কুমিল্লা হেরেছিলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি। অন্যদিকে বরিশাল তৃতীয় ম্যাচে দেখলো দ্বিতীয় হার।
বরিশালের করা ১৬১ রানের জবাব দিতে নেমে লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান সতর্ক শুরু করেছিলেন; কিন্তু দলীয় ২৬ রানের মাথায় পরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং তাওহিদ হৃদয়কে আউট করে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান স্পিনার ভেল্লালাগে। এরপরই চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। ১৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান লিটন দাসও।
রস্টোন চেজ ১৫ বলে খেলেন ১৩ রানের ইনিংস। এরপর জাকের আলিকে নিয়ে লড়াইয়ে নামেন ইমরুল। একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি দ্রুত রানও তোলেন। ইমরুল যখন আউট হন তখন দলের রান ১১৬। তখনও ২১ বলে ৪৬ রান প্রয়োজন কুমিল্লার। খুশদিল শাহ ৭ বলে ১৪ রান এবং জাকের আলি ২০ বলে অপরাজিত ২৩, শেষ মুহূর্তে ম্যাথ্যু ফোর্ড ৪ বলে ১৩ রান করে দলকে জয় এনে দেন।