শিরোনাম
তিনিই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, আবার তিনিই বিসিবি প্রধান। এরইমধ্যে জানা হয়ে গেছে, আইনে বাধা নেই। তারপরও কেমন যেন লাগে!
শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই নয়, সচেতন ক্রিকেট ও ক্রীড়া অনুরাগিদের বড় অংশও তাই মনে করেন। এ নিয়ে নতুন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের ভাবনা কী? তিনি কী অনুভব করছেন? তার মনেও কি এ চিন্তা বাসা বেঁধেছে?
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার কথা বলার অবকাশ ছিল না। তবে শুক্রবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী।
কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনিও ভেতরে ভেতরে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।
একই ব্যক্তির বিসিবি প্রধান থাকার পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়া, ব্যাপারটা কেমন দেখাবে? তিনি যেহেতু দীর্ঘদিন বিসিবির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, তাই ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ার পরও অবচেতন মনে তার ক্রিকেটের প্রতি একটা বাড়তি দুর্বলতা কাজ করতেও পারে।
এসব ভেবে সম্ভবত নাজমুল হাসান পাপনও খানিক বিব্রতবোধ করছেন। আর তাই তার মুখে এমন কথা, 'আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।'
পাপন যোগ করেন, 'যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি তবু ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। সেটা আছে। কিন্তু ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না, হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।’
তিনি ক্রীড়া মন্ত্রীর পাশাপাশি যুব মন্ত্রীও। এক কথায় দুটি মন্ত্রণালয়, এ দুয়ের সমন্বয় ঘটানো এক নতুন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নাজমুল হাসান পাপন।
তার ভাষায়, 'অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। যেকোনো মন্ত্রণালয়ই চ্যালেঞ্জিং। একসঙ্গে আমি মনে করি, যেহেতু এতদিন ক্রীড়ার সঙ্গেই ছিলাম, তবে একটা ক্রিকেট নিয়ে। কাজেই এখন তো শুধু ক্রিকেট না, সবগুলো খেলাধুলা, তার সঙ্গে আবার যুবা।
যেহেতু ক্রিকেট বোর্ডে এতদিন ধরে আছি, বোঝা যায় যে দায়িত্ব কী, সেটুক জানি। যুবটা নিয়ে কিছু জানি না। আমার কাছে মনে হয়, যুবটা ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট; এটা তো একটা বিরাট ব্যাপার আমাদের দেশে। বিশেষ করে এখনকার পরিস্থিতিতে এ দিকটা নজর দেওয়া উচিত। ক্রীড়ায় অনেক ধরনের স্পোর্টস আছে। এটা সবার সঙ্গে কথা না বলে, কার কী সমস্যা (না জেনে) সমাধান দেওয়া সম্ভব না।'