শিরোনাম
২৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরই বোঝা গিয়েছিলো, আরও একটি ম্যাচ জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। শুধু জয়ই নয়, যুবাদের এশিয়ান ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা।
কাজটা বাকি ছিল শুধু বোলারদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ইমন, রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবনরা সেই কাজটা খুব সহজেই শেষ করে দিলেন।
স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে অলআউট করে দিলেন ৮৭ রানে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে যুবা টাইগার পেসারদের তোপে পড়ে স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা। দলীয় ১২ রানে আরিয়ানশ শর্মা, ২৮ রানে আকশাত রাই, ৩৫ রানে তানিশ সুরি, ৩৯ রানে এথান ডি’সুজা ও ৪৫ রানে আফজাল খান আউট হন।
দলীয় ৬১ রানে আরব আমিরাত হারায় ২ উইকেট। ইকবাল হোসেন ইমনের ওভারে ইয়াইন রাইয়ের পর বিদায় নেন আম্মার বাদামিও। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাই, ৭২ রানে আয়মান আহমেদ ও ওমিদ রহমান ৩ রানে আউট হন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ধ্রুব পারাশর।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বর্ষণ ও মারুফ মৃধা। ইকবাল হোসেন ও পারভেজ নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ২৮২ রান করে টাইগার যুবারা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায়। কিন্তু শিবলি ও মো. রিজওয়ানের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দুজনে মিলে গড়েন ১২৫ রানের বড় জুটি। রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ রান করে আউট হন ধ্রুব পারাশরের ওভারে। শিবলিকে ৮৬ রানের জুটিতে সঙ্গ দেন আরিফুল ইসলাম। এই সময় সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলি। ১২৯ বলে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তিনি।
আরিফুল আউট হন ঠিক ৫০ রান করে। এরপর আহরার আমিন ৫ ও শিহাব জেমস ৩ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১১ বলে ২ চার ও এক ছয়ে ২১ রান করেন তিনি। শিবলি শেষ পর্যন্ত ১৪৯ বলে ১২৯ রান করেন। তার ইনিংসে আছে ১২টি চার ও একটি ছয়ের মার। চলতি এশিয়া কাপে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আগের চার ম্যাচে দুটি অর্ধশতক ও একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭১ রান করেন তিনি। এরপর জাপানের বিপক্ষেও খেলেন ৫৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ৩ উইকেট নেন আয়মান আহমেদ। ওমিদ রহমান নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান হার্দিক পাই ও ধ্রুব।