শিরোনাম
দেশের ক্রীড়াজগতের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। এবার বিকেএসপির ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করা হলো জালিয়াতির দায়ে।
জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগামী বছর ঘরোয়া ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বিকেএসপি।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
নাম পরিচয় বদলে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ফুটবলারকে অন্য দলে খেলোনোর অভিযোগে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
চলতি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফুটবল সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাফুফে ডিসপ্লিনারি কমিটি বিকেএসপির ফুটবল দলকে আগামী এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছে।
ঘটনা ঘটেছিল গত ২৪ নভেম্বর। ওই দিন রাজধানীর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকেএসপির বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর বাফুফের কাছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ফুটবল একাডেমি লিখিত অভিযোগ করেছিল। তার প্রেক্ষিতে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি সভা করে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে বিকেএসপির বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিযোগ খুঁজে বাফুফের নজরে এসেছে, বিকেএসপির কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের নাম ও পদবি বদলে চকবাজার কিংসের হয়ে খেলেছেন। বিকেএসপির কোচ রবিউল ইসলাম আবার চকবাজার কিংসের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। মূলত তার মাধ্যমেই এই জালিয়াতিগুলো হয়েছে। বিকেএসপির সিনিয়র কোচ মো. শাহীনুর হকও জড়িত ছিলেন এই অনৈতিক কাজে।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ওই ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ফুটবল একাডেমিকে ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। অবৈধভাবে ফুটবলার খেলানোয় বিকেএসপির বাকি ম্যাচগুলো বাতিল করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষদের ৩-০ গোলে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকেএসপির অর্জিত পয়েন্ট থেকে ৭ পয়েন্ট কাটা হয়েছে। দলের সিনিয়র কোচ শাহিনুল হক ও রবিউল ইসলামকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। খেলোয়াড় নাইমুর রহমান ও ইকরামুল ইসলাম, হাবিব রিদুয়ান, রিফাত কাজীকে দলের ৬ ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।