শিরোনাম
৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। উইকেটের যেই কন্ডিশন, সেখানে বেশিক্ষণ টিকে থাকার কথা নয় স্বাগতিকদের। তবে স্পিন স্বর্গে ফিলিপসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উল্টো বাংলাদেশকে লিড দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে লিড পাওয়ার বড় কারণ গ্লেন ফিলিপসের ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। মিরপুরের মতো উইকেটে মাত্র ৭২ বল মোকাবেলা করে ফিলিপস হাঁকান ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। অথচ একই উইকেটে অন্য অনেকের একেকটি রানের জন্য করতে হয়েছে সংগ্রাম, সেখানে ফিলিপসের স্ট্রাইক রেট ১২০.৮৩!
মূলত তার এমন আগ্রাসী ইনিংসের কারণেই ঢাকা টেস্টে এখনো টিকে আছে নিউজিল্যান্ড। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপস শোনালেন, এই উইকেটে তার ব্যাটিং পরিকল্পনা কেমন ছিল। কিউই এই ব্যাটার বলেন, ‘আমি ব্যাট দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব। ওরা ভালো বল করবেই। আমাকে সেই বলগুলো সামলাতে হতো। এই উইকেটে টার্ন ও বাউন্স থাকবেই। এসব মেনে নিয়েই খেলতে হবে।’
নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনাটা নিয়ে ফিলিপস আরও বলেন, ‘এমনিতে খুব বেশি বল ছাড়তে চাই না আমি। খুব ভালো বল হলে বা ঠেকানোর মতো বল হলেই কেবল ঠেকাই। আর এই ধরনের পিচে আসলে এটা বোঝা জরুরি যে, একটু বেশি আগ্রাসী হওয়টাই সবচেয়ে সেরা উপায়, যেখানে বোলারকে চাপে ফেলে দেওয়া যায়, তাদের লেংথ থেকে একটু সরিয়ে দেওয়া যায় এবং এরপর তাদেরকে বাধ্য করা যায় আমার শক্তির জায়গায় বল করতে ও একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।’
এদিন ফিলিপস যেভাবে খেলছিলেন পেতে পারতেন সেঞ্চুরিও। তবে আউট হওয়ার ধরন নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ আছে তার।
ফিলিপস বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে শরিফুল যখন তার ডেলিভারি শুরু করছিল তখন সাইট স্ক্রিনের পাশ দিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছিল এবং আমি এটাই বলছি। আমি ছেড়ে দিতে পারতাম কিন্তু এটাও আমার মাথায় ছিল। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল এবং আমি সঠিকভাবে বলটা দেখিনি এবং আমি সরে যেতে পারিনি। আমি কোনোটাই করিনি এবং শেষমেশ বলে খোঁচা দিয়ে ফেলি।’